শিল্পকলার স্বর্ণপদকগুলো পরমাণু শক্তি কমিশনে পরীক্ষিত

শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন এ সাত গুণী
শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন এ সাত গুণী

শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের অবদানকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও দেওয়া হচ্ছে ‘শিল্পকলা পদক’। পদক পাচ্ছেন ৭ গুণীজন। ‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য নির্বাচিত এ গুণীজনদের প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, ১ লাখ টাকা সম্মানী ও একটি সনদ প্রদান করা হবে। স্বর্ণপদকগুলো পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গুণীরা খাঁটি সোনার পদক পাবেন—এমনটাই দাবি করছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ৭ গুণীজনের নাম ঘোষণা করেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। এরা হলেন নাট্যকলায় সৈয়দ জামিল আহমেদ, যন্ত্রসংগীতে পবিত্র মোহন দে, নৃত্যকলায় মো: গোলাম মোস্তফা, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তফা, চারুকলায় কালিদাস কর্মকার, লোকসংস্কৃতিতে সিরাজউদ্দিন পাঠান ও কণ্ঠ সংগীতে মিতা হক।
আগামী বৃহস্পতিবার ৭ জন গুণীশিল্পীর হাতে পদক তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সংস্কৃতি সচিব মোঃ ইব্রাহীম হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক উত্পল কুমার দাস, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মোঃ শাওকাত ফারুক এবং একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে গত ২০১৩ সাল থেকে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় কার্যক্রম। দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজন এবং তাঁদের কর্মকে চিহ্নিত করে সাংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়ে থাকে। নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব, ৬ জন পরিচালক, ৭ জন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১ জন প্রতিনিধি সমন্বয়ে সর্বমোট ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদক প্রদানের ক্ষেত্রে এবং পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন।