শহীদ কামারুজ্জামানকে নিয়ে চলচ্চিত্র

‘উত্তরের মানুষ ধ্রুবতারা’র পোস্টার
‘উত্তরের মানুষ ধ্রুবতারা’র পোস্টার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম সহযোগী, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নিয়ে তৈরি হলো প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘উত্তরের মানুষ ধ্রুবতারা’। ৪৬ মিনিটের এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে স্বজন, সহযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষায় উঠে এসেছে শহীদ কামারুজ্জামানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবন। আজ জেলহত্যা দিবস। তার আগে ইউটিউবে অবমুক্ত করা হয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি।

শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান অবিভক্ত বাংলা ও পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ কারফিউ প্রত্যাহারের জন্য পত্রিকায় বিবৃতি দেন ও ১১ মার্চ রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে এক জনসভায় স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথ নেন। ওই সময় তিনি স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় কারাবন্দী হন তিনি। এরপর ৩ নভেম্বর রাতে কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

শহীদ কামারুজ্জামানের পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিদের অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে গণমানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর দাদা জমিদার হাজি লাল মোহাম্মদ কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকাকালে দুবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য (এমএলসি) নির্বাচিত হন; রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমির একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন। কামারুজ্জামানের বাবা আবদুল হামিদ মিয়া রাজশাহী অঞ্চলে মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ও পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ কামারুজ্জামানের বড় ছেলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।