'বাবাকে কী উপহার দেব ভাবছি'

আজ ৬ নভেম্বর, যাকের পরিবারের জন্য বিশেষ দিন। অভিনেতা বাবা-ছেলে আলী যাকের আর ইরেশ যাকের দুজনেরই আজ জন্মদিন। গতকাল রোববার রাতে কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন দুজন। ইরেশের মা অভিনেত্রী সারা যাকের আর বোন শ্রিয়া সর্বজয়া তাঁদের কেক কাটার ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ইরেশ যাকের। জন্মদিনে ফুরফুরে মেজাজে আছেন এই অভিনেতা। ব্যস্ততার মাঝেও কিছু সময় দিলেন।

জন্মদিনে বাবা আলী যাকেরকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন ছেলে ইরেশ যাকের। ছবি: ফেসবুক
জন্মদিনে বাবা আলী যাকেরকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন ছেলে ইরেশ যাকের। ছবি: ফেসবুক


হ্যালো, ইরেশ যাকের, শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ।

আজ তো আপনার আর আপনার বাবা দুজনেরই জন্মদিন। বাপ-বেটার জন্মদিনে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে?
না, তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতিবছর এই দিনে চ্যানেল আইয়ের ‘তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে আমরা আমন্ত্রিত থাকি। এবারও তা-ই হয়েছে। দুপুরে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সোজা অফিসে চলে যাব। বাবার সঙ্গে আবার সন্ধ্যায় বাসায় দেখা হবে। মা বলছিলেন, রাতে বাড়িতে কিছু বন্ধু আর আত্মীয়স্বজন আসতে পারেন। রাতে সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করব। বাবা-ছেলের একসঙ্গে জন্মদিন এভাবেই কাটবে।

জন্মদিনের প্রথম প্রহরেই বাবা-ছেলে কেক কেটেছেন?
হ্যাঁ। এটি আমাদের জন্মদিনে নিয়মিত ঘটে থাকে। মা আর আমার ছোট বোন শ্রিয়া সর্বজয়া মিলে প্রতিবছর রাত ১২টায় আমার আর বাবার জন্য কেক আনেন। আমরা একসঙ্গে কেক কাটি। এটি আমাদের একদম ঘরোয়া পরিসরের আয়োজন।

এক ফ্রেমে পুরো পরিবার—‘বার্থ ডে বয়’ আলী যাকের ও ইরেশ যাকের সঙ্গে সারা যাকের ও শ্রিয়া সর্বজয়া। ছবি: ফেসবুক
এক ফ্রেমে পুরো পরিবার—‘বার্থ ডে বয়’ আলী যাকের ও ইরেশ যাকের সঙ্গে সারা যাকের ও শ্রিয়া সর্বজয়া। ছবি: ফেসবুক


ছেলেদের বয়স জানাতে তো কোনো বাধা নেই।
হ্যাঁ হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার বয়স ৪১ আর বাবার এটি ৭৩তম জন্মদিন।

বাবা-ছেলের একই দিনে জন্মদিন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। আপনারা দুজনেই ভাগ্যবান। কিন্তু ছোটবেলায় তো সবাই নিজের ওপর পূর্ণ মনোযোগ চায়, শৈশবে এ নিয়ে কোনো আফসোস ছিল?
একদম না। কারণ, বাবার সঙ্গে আমি খুব ঘনিষ্ঠ। তা ছাড়া বাবা সব সময় জন্মদিনের পুরো ফোকাস আমার ওপরেই রাখতেন। এদিন যে তাঁর নিজেরও জন্মদিন, সেটা কাউকে মনে রাখতে দিতেন না। আর বাবার সঙ্গে আমার জন্মদিন—এই বিষয়টা আমি ছোটবেলা থেকেই খুব উপভোগ করি। তবে এখন পরিস্থিতি পালটে গেছে। আগে ছোট ছিলাম বলে সবাই আমার দিকে বেশি মনোযোগ দিত আর এখন আমার থেকে বাবা বেশি শুভেচ্ছা পায়।

তাঁরা বাবা-ছেলে খুব ভালো বন্ধু। ছবি: ফেসবুক
তাঁরা বাবা-ছেলে খুব ভালো বন্ধু। ছবি: ফেসবুক


জন্মদিনের কোনো মধুর স্মৃতি?
আমি পড়াশোনার জন্য অনেক দিন দেশের বাইরে ছিলাম। টানা ১০ বছর পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন করতে পারিনি। বিদেশে থাকাকালে রাত ১২টায় বাবাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতাম। দেশে ফিরে আসি ২০০৫ সালে। দেশে ফেরার পর ওই বছর আমাদের জন্মদিনটা খুব স্মরণীয় ছিল। এত বছর পর বাবার সঙ্গে, পুরো পরিবার একসঙ্গে জন্মদিন উদ্‌যাপন করার অনুভূতি সত্যিই দারুণ!

দুই সন্তান ইরেশ ও শ্রিয়াকে নিয়ে আলী যাকের। ছবি: ফেসবুক
দুই সন্তান ইরেশ ও শ্রিয়াকে নিয়ে আলী যাকের। ছবি: ফেসবুক


বাবাকে কোনো উপহার দিয়েছেন?
এখনো বাবাকে কিছু দেওয়া হয়নি। বাবাও আমাকে কিছু দেননি। দেনা-পাওনার কিছু বিষয় এখনো বাকি আছে। বাবাকে কী দেব ভাবছি। তিনিও নিশ্চয় আমাকে কোনো উপহার দেবেন। আমরা দুজন আবার সব কাজ একটু সময় নিয়ে, চিন্তাভাবনা করে করতে পছন্দ করি। জন্মদিন বলে আজই যে হুড়োহুড়ি করে কিছু একটা দিতে হবে, এমন মনোভাব আমাদের মধ্যে নেই (হাসি)।