সিনেমা আমার জায়গা না

ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে গত রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মডেল ও অভিনেতা নোবেল। সেখানে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের হেড অব এন্টারপ্রাইজেস বিজনেস হিসেবেও কর্মরত আছেন এই মডেল ও অভিনেতা। চাকরি, নতুন গান, মডেলিং ও অভিনয়জীবন নিয়ে অনেক কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

নোবেল  ছবি: সংগৃহীত
নোবেল ছবি: সংগৃহীত


গান গাইলেন শুনলাম? নতুন গান?

না। আমি তখন স্কুল বা কলেজের ছাত্র। সোলস ব্যান্ড একটি গান করল, নাম ‘সাগরের ওই প্রান্তরে’। গানটি ১৯৫৭ সালে হ্যারি বেলাফঁতের গাওয়া ‘জ্যামাইকা ফেয়ারওয়েল’–এর বাংলা ভার্সন। আমার ভীষণ পছন্দের এই গান এখনো আপনমনে গাই। কিছুদিন আগে আমার অফিসের এক অনুষ্ঠানের জন্য গানটি রেকর্ড করলাম। সামনে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানেও প্রচারিত হবে গানটি। নতুন করে এর সংগীতায়োজন করেছে সন্ধি।

এর আগেও তো আপনি গান গেয়েছেন

হ্যাঁ, আমি দুটি চ্যানেলে দুবার গান গেয়েছি। একবার সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছিলাম শাকিলা আপাকে। সর্বশেষ যে গানটি গেয়েছিলাম, সেটা উইনিং ব্যান্ডের গাওয়া ‘মন কী যে চায় বলো’।

সামনে কি নিয়মিত গাইবেন তাহলে?

গান আমার একান্তই ভালোবাসার ব্যাপার। যদিও আমি কোনো দিন ভালো গাইতে পারব না, তারপরও শখের বশে গেয়ে যাই। যাঁরা খুব ভালো গান করেন, তাঁদের সঙ্গে আমার ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুরাও বলে, ‘গাও গাও, খুব ভালো হচ্ছে। পারলে একটা অ্যালবাম বের করো।’ আমি বলি, স্যরি, আমি এত বোকা না। এক কিংবা দুই বছরে একটা গাইতে হলে তখন ঠিক আছে।

গানের প্রতি ভালোবাসা কবে থেকে?

একেবারে ছোটবেলা থেকে। তখন দেশের বাইরের গান বেশি শুনতাম। আমার খুব প্রিয় ছিল পিংক ফ্লয়েড আর গানস অ্যান রোজেস। এদের কনসার্ট দেখতে প্রতিবছর দেশের বাইরেও যাই। তিন মাস আগে ব্যাংককে গিয়েছি গানস অ্যান রোজেসের গান শুনতে। তার আগে গিয়েছিলাম মালয়েশিয়ায়। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুনতাম সোলসের গান। এর বাইরে আরও অনেকের গান শুনি। এখন তো নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের গানও শুনি। লোকগানও খুব প্রিয়।

অভিনয়ের খবর বলুন।

চাকরির কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। আমাকে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হয়। চাকরির ফাঁকে নাটকে অভিনয় করি। কোরবানির ঈদে প্রচারিত হয় ‘দ্য হিরো’। নাটকটি অনেকটা সিনেমার আদলে বানানো হয়েছিল।

আপনি তো নিশ্চয়ই সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছেন?

অনেক। গত সপ্তাহেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি। যদিও সিনেমার ভাবনাটা ভালো লেগেছে, তারপরও কেন জানি সিনেমার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছি না। অনেকে এও বলছেন, সিনেমার অবস্থা তো ভালো, আপনি এখন অন্তত অভিনয় করতে পারেন। কিন্তু আমি একটা সিনেমা করলাম, এরপর চলে এলাম, তা চাই না।

খাপ খাওয়াতে না পারার কারণ কী?

নিঃসন্দেহে দেশের সিনেমা এখন খুব ভালো জায়গায় আছে। তারপরও মনে হয়, সিনেমা আমার জায়গা না। সবকিছুর পর তো ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। আমি তা এখনো পারছি না। এটাও ঠিক, সবার সবকিছু হয় না।

তাহলে আপনাকে কখনোই সিনেমায় দেখা যাবে না?

এখন পর্যন্ত ইচ্ছা নেই।