পরিবেশকেরাও 'পদ্মাবতী'র বিপক্ষে!

‘পদ্মাবতী’ ছবির দৃশ্যে দীপিকা পাড়ুকোন ও শহিদ কাপুর
‘পদ্মাবতী’ ছবির দৃশ্যে দীপিকা পাড়ুকোন ও শহিদ কাপুর

বিতর্ক সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবি ‘পদ্মাবতী’র পিছু ছাড়ছে না। ছবির শুটিং শুরু হওয়ার পর থেকে বারবার বাধার সম্মুখীন হন পরিচালক। করনি সেনাসহ রাজপুতের অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা এই ছবির মুক্তিতে শুরু থেকেই বাধা দিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, বানসালি এ ছবিতে ইতিহাসকে ‘বিকৃত’ করে উপস্থাপন করেছেন। এখন রাজস্থানের চলচ্চিত্র পরিবেশকেরাও বেঁকে বসছেন। গত সোমবার তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে এ বিতর্কের অবসান না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ছবির পরিবেশনা স্বত্ব কিনবেন না।

ঐতিহাসিক ঘটনাকে বিকৃত করার জন্য করনি সেনা ও রাজপুত সম্প্রদায় ‘পদ্মাবতী’ ছবি মুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। এখন তাদের দলে জুটেছে রাজস্থানের চলচ্চিত্র পরিবেশক ও হল মালিক সমিতির সদস্যরাও। রাজস্থানের প্রভাবশালী পরিবেশক রাজ বানসাল বলেন, ‘আমরাও ইতিহাস বিকৃতির বিপক্ষে। যত দিন পর্যন্ত না এই সিনেমা নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়, তত দিন আমরা এই ছবির স্বত্ব কিনব না।’

‘পদ্মাবতী’ ছবির নতুন পোস্টার
‘পদ্মাবতী’ ছবির নতুন পোস্টার

রাজস্থানের জয়পুরের রাজ পরিবারের সদস্য দিয়া কুমারী টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি রাজস্থানের মানুষের সাহস ও ত্যাগের গল্পে কোনো বিকৃতি মেনে নেব না।’ জয়পুর রাজপরিবারের আরেক সদস্য বলেন, ‘পদ্মাবতী’ ছবির একটি স্বপ্নদৃশ্যে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি ও রানি পদ্মাবতীর আপত্তিকর প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া এই সিনেমার প্রথম মুক্তি পাওয়া গান ‘ঘুমর’-এ ১ হাজার ৬০০ নারীকে নিয়ে খোলা উঠানে নাচতে দেখা গেছে রানি পদ্মাবতীর চরিত্রে দীপিকাকে। রানি পদ্মাবতীর মতো একজন দৃঢ়চেতা নারীর জন্য এটা ভীষণ অপমানজনক। এই সিনেমায় রাজপুত নারীদের ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ইতিহাস বিকৃতি ছাড়াও হিন্দুত্ববাদ আর হিন্দু সংস্কৃতিকে অপমান করার অভিযোগ এসেছে সঞ্জয় লীলা বানসালির বিরুদ্ধে। মনে হচ্ছে, বিতর্কের মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বানসালি ছবিটি মুক্তি দিতে পারবেন না। রাজস্থানে তিন শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। এই রাজ্যে ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি না দিতে পারলে প্রযোজক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী ১ ডিসেম্বর। কিন্তু কয়েকটি দেশে ছবিটি মুক্তি পাবে ৩০ নভেম্বর। ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, শহিদ কাপুর, রণবীর সিং, অদিতি রাও হায়দারি প্রমুখ। হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআই