ড্যাডি'স হোম-২-এর অপেক্ষায়

ড্যাডি’স হোম ছবির দৃশ্য
ড্যাডি’স হোম ছবির দৃশ্য

রেডিও নির্বাহীর পদে কর্মরত ব্র্যাড হুইটেকার বাবা হতে চায়। একজন সফল বাবা। স্ত্রী সারাহ আর দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার তার। অন্তত ব্র্যাড সেটাই ভাবতে ভালোবাসে। তবে ছেলে ডিলান আর মেয়ে মেগানের কাছে কিন্তু ব্যাপারটা একেবারেই অন্য রকম। ব্র্যাডকে নিয়ে অসম্ভব অখুশি তারা। কেনইবা হবে না? ব্র্যাড যে তাদের সৎবাবা! তবু ব্র্যাডের চেষ্টা থামে না। ছেলেমেয়েদের হাসি-ঠাট্টা, বাজে ব্যবহার, রাগ সঙ্গে নিয়েও সেরা বাবা হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা তার। চেষ্টা যে সফল হয় না তা নয়। তবে ভালোমানুষ ব্র্যাডের এসব চেষ্টায় পানি পড়ে ডাস্টি মেরনের একটা ফোন কলে। কে এই ডাস্টি মেরন? ডিলান আর মেগানের আসল বাবা, সারাহর প্রথম স্বামী!

২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ড্যাডি’স হোম চলচ্চিত্রের মূল গল্পটাই শুরু হয় এখান থেকে। দুই বাবা বারবার চেষ্টা করতে থাকে সন্তানদের কাছে সেরা হওয়ার। ডাস্টি আবার ফিরে পেতে চায় সবাইকে। অন্যদিকে ব্র্যাড চায় পরিবারের সঙ্গে থাকতে। ডাস্টির মতো চালাক নয় ব্র্যাড। তাই বারবার হেরে নাকাল হয়ে শেষমেশ হাল ছেড়ে দেয় সে। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় ব্র্যাডকে। আবার নিজের পরিবারে জায়গা পায় ডাস্টি। কিন্তু পরিবারের বাবা হওয়া কি এত সহজ? একটু একটু করে বুঝতে পারে ডাস্টি, সে আর পারছে না। এত দায়িত্ব তাকে দিয়ে পালন করা সম্ভব নয়। তাই একদিন কাউকে না বলেই পালিয়ে যায় সে। কিন্তু ব্র্যাড আটকায় ডাস্টিকে। আর যাই হোক, ছেলেমেয়েদের কোনোভাবেই কষ্ট পেতে দিতে চায় না ব্র্যাড। ছবির শেষটা সুখের। নিজেদের ভেতরে ঝগড়াঝাঁটি থামিয়ে দেয় ব্র্যাড আর ডাস্টি। ক্যারেন নামে আরেকজনকে বিয়ে করে ডাস্টি। ক্যারেনের একটি মেয়ে আছে। নিজেই এবার সৎবাবা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করে ডাস্টি।

পরিচালক সিন অ্যান্ডার্সের এই কমেডি মুভিটি অসম্ভব ভালো ফল করে বক্স অফিসে। ৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার খরচ করে উঠে আসে ২৪ কোটি ২৮ লাখ ডলার! ব্র্যায়ান বার্নসের লেখনীতে চমৎকার অভিনয় পারদর্শিতা দেখান উইল ফেরেল, মার্ক হোয়েলবার্গ আর লিন্ডা কার্ডেলিনি। তবে এত কিছুর পরও সন্তুষ্ট করা যায়নি সমালোচকদের। আরও ভালো কিছু করা যেত—এমনটাই বক্তব্য দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সমালোচনার জবাব দিতেই এবার চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় কিস্তি আনতে চলেছেন পরিচালক সিন অ্যান্ডার্স।

ইতিমধ্যে ইউটিউবে সাড়া ফেলে দিয়েছে ড্যাডি’স হোম-২-এর ট্রেলার। ৪৪ লাখ ভিউ পেয়ে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এখন চলচ্চিত্রটি। তবে এবার আর বাবা নয়, বরং গল্পটা দাদুদের! দাদু আর সৎদাদু, অর্থাৎ ডাস্টি আর ব্র্যাডের বাবাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। লিন্ডা, মার্ক আর উইল ফেরেলের পাশাপাশি মুভিতে এবার দেখা যাবে মেল গিবসন আর জন লিথগোকে। সেই সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য জন সিনা তো আছেনই!

দুই দাদু এবার নিজেদের ছেলের হয়ে নানা রকম কর্মকাণ্ড শুরু করে। নিশ্চয় তাদের পর্দার সেই কর্মকাণ্ড হাসাবে আমাদের। তবে সমালোচকদের কতটা খুশি করবে, সেটাই এবার দেখার বিষয়। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী শুক্রবার।