কলকাতা উৎসবে সেরা 'লো পেরো'

কলকাতার ২৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতার ২৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতার ২৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে ফ্রান্সের ‘লো পেরো’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মারশেলা সেইদ। পুরস্কার হিসেবে ছবিটিকে দেওয়া হয়েছে ‘গোল্ডেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার স্মারক’ ও ৫১ লাখ রুপির চেক। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হয়েছেন আইসল্যান্ডের আশা হেলগা। তিনি পেয়েছেন ‘গোল্ডেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার স্মারক’ আর ২১ লাখ রুপির চেক। বিচারকদের রায়ে বিশেষ মনোনীত ছবির শিরোপা যৌথভাবে পেয়েছে পোল্যান্ডের ‘বার্ডস আর সিংগিং ইন কিগা’ এবং ইরানের ‘কুপাল’।

আর ভারতীয় ছবির বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার ‘হীরালাল সেন স্মারক পুরস্কার’ এবং ৭ লাখ রুপির চেক পেয়েছে চেজিয়ান রা পরিচালিত ‘টু লেট’। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হয়েছেন ‘সাউন্ড অব সাইলেন্স’ ছবির বিজু কুমার দামোদারন। তিনি পেয়েছেন স্মারকসহ ৫ লাখ রুপির চেক। বিচারকদের বিশেষ মনোনীত ছবির পুরস্কার পেয়েছে ‘পাথুম্মা’। এবার শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘চাহাত কে গুব্বারে’ ও তথ্যচিত্র ‘মৃত্যুভোজ’ পেয়েছে স্মারক ও এক লাখ রুপির চেক। নেটপ্যাক বিভাগে ‘সেরা এশীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পেয়েছে নেপালের পরিচালক নবীন সুব্বার ছবি ‘গুডবাই কাঠমান্ডু’।

গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে ২৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজন করা হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এখানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের দুই বাঙালি তারকা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘এই উৎসবে যোগ দেওয়া আমার জীবনের অন্যতম সেরা অনুভূতি। বাংলা সব সময়ই দেশকে নেতৃত্ব দেয়। বাংলা এগিয়ে চলুক। কলকাতার এই উৎসব দেশের সেরা চলচ্চিত্র উৎসব।’ আর মৌসুমী বলেন, ‘এই উৎসবে যোগ দিতে পেরে আমি ধন্য হয়েছি। এই উৎসব আমাকে গর্বিত করেছে।’

১০ নভেম্বর কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এই উৎসব উদ্বোধন করেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন। তাঁর সঙ্গে আরও ছিলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান, কাজল, মহেশ ভাট, কমল হাসান ও কুমার শানু।

এবার উৎসবে ৫৩টি দেশের ১৪৩টি ছবি অংশ নেয়। সঙ্গে আরও ছিল ৮৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি। বাংলাদেশ থেকে এবার এই উৎসবে অংশ দিয়েছে আবু সাইয়ীদের ছবি ‘এক কবির মৃত্যু’। উৎসবের ছবিগুলো কলকাতার ১২টি প্রেক্ষাগৃহ ও মিলনায়তনে প্রদর্শন করা হয়।