শুটিংয়ের সময় কয়েক হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকত

>আজ শুক্রবার সারা দেশের প্রায় ৯০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র হালদা। গতকাল রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। হালদা নিয়ে কথা হলো এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের অভিনেতা জাহিদ হাসান–এর সঙ্গে। সেই সঙ্গে তিনি বললেন তাঁর সেরা করদাতা হওয়ার অনুভূতির কথাও।
জাহিদ হাসান
জাহিদ হাসান

‘হালদা’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
প্রচারণাও যে ছবিকে এগিয়ে দেয়, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একসময় পত্রিকা ও রেডিওতে বিজ্ঞাপন দিয়ে ছবির প্রচার চালানো হতো। এখন প্রচারমাধ্যমে পরিবর্তন এসেছে। একাধিক টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, ফেসবুকসহ প্রচারের কত যে মাধ্যম এসেছে, তার হিসাব নেই। তৌকীর আহমেদের আগের ছবিগুলোর মতো এই ছবির প্রতিও দর্শকদের আগ্রহ থাকবে। এই ছবির ফজলুর রহমান বাবু, তিশা, মোশাররফ করিম, রুনা খান, দিলারা জামানসহ অনেকেই দর্শকের পছন্দের শিল্পী। তাই হালদা নিয়ে বেশ আশাবাদী আমি।

এই যে এত জনপ্রিয় শিল্পী একসঙ্গে এক ছবিতে কাজ করেছেন, শুটিংয়ের দিনগুলো কেমন কেটেছে?
শুটিংয়ের দিনগুলো টেনশনে কেটেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন লোকেশনে যাচ্ছি, দেখি কয়েক হাজার লোক প্রিয় শিল্পীদের দেখার জন্য দাঁড়িয়ে। রাত হয়ে গেছে, তাও মানুষ দাঁড়িয়ে। পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গেও লোকজন এসেছে। পরে রাজনৈতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে শুটিং করতে হয়েছে। ছবিতে আমরা যাঁরা কাজ করেছি, তাঁরা পরিবারের মতো। আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাই টেনশন থাকলেও শুটিং শেষে রাতে অনেক মজাও করেছি আমরা।

প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখবেন না?
প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে নিজের ছবি দেখতে অস্বস্তি লাগে। আমার কাছে বিষয়টি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর দিনের মতো। একা একা ছবি দেখতেই বেশি ভালো লাগে। ইচ্ছা ছিল সন্তান ও মৌসহ আমরা একসঙ্গে ছবিটি দেখব। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার ব্যস্ততা। তাই এখন হয়তো দেখা হবে না। পরে কোনো একসময় সবাই মিলে দেখে নেব।

পরিচালক তৌকীরের কাজ কেমন লাগে আপনার?
তৌকীর আহমেদের সঙ্গে আমার প্রায় ৩০ বছরের সম্পর্ক। একসঙ্গে দীর্ঘদিন থিয়েটার করেছি, একসঙ্গে নাটকে অভিনয় করেছি। কিন্তু চলচ্চিত্রে কাজ হয়নি। এবারই প্রথম। তাঁর সব কটি ছবিই দর্শক দেখেছেন। জয়যাত্রা অজ্ঞাতনামা ছবি দুটি আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। অসাধারণ কাজ। তাঁকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

সরকারের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অভিনয়শিল্পী বিভাগে কয়েকজন সেরা করদাতার নামের তালিকায় আপনার নামও আছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
সঠিক পথে দেশের জন্য কোনো কিছু করলে তার সম্মান পাওয়া যায়। সেই সম্মানই আমি পেয়েছি। করদানে উত্সাহিত করার জন্য জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দিয়ে প্রচারকাজ চালাচ্ছে এনবিআর। এটা ভালো উদ্যোগ। জীবদ্দশায় সেরা করদাতার সম্মান পেয়েছি, একজন অভিনেতা হিসেবে এটাই বড় পাওয়া।
সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন