তিনজনের বদলি, কঠোর হতে চায় এফডিসি

এফডিসির প্রধান ফটক
এফডিসির প্রধান ফটক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) এলাকায় মাদক কেনাবেচার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার জন্য তিনজন নিরাপত্তাকর্মীকে বদলি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে এফডিসির প্রশাসনিক ও অর্থ বিভাগের পরিচালক লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘এফডিসিতে মাদকের ব্যবসা!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রধান ফটকের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্য বদলি হওয়া তিনজন হলেন রশিদ হাওলাদার, নুরুল হক ও নাজির হোসেন। এঁদের মধ্যে দুজনকে ভাষানটেকে এফডিসি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের বাসস্থানের জন্য সংরক্ষিত জায়গায় এবং আরেকজনকে কবিরপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটিতে বদলি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা পরিচালক আমিনুল করিম।

লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমরা কঠোর হচ্ছি। এফডিসির ভাবমূর্তির প্রশ্নে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে নোটিশ দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি, সন্ধ্যার পর শুটিং ছাড়া কেউ যেন এফডিসিতে ঘোরাফেরা না করেন। এফডিসির অভ্যন্তরের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সমিতির অফিসগুলোকেও চিঠি দিয়ে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’

এফডিসি কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারীরা। নাম প্রকাশ না শর্তে তাঁরা বলেন, ‘দোষ করে রাঘব বোয়ালরা, শাস্তি ভোগ করতে হয় আমাদের মতো নিরীহ ব্যক্তিদের! বিধাতার এ কেমন নিয়ম বুঝি না।’

নিরাপত্তাকর্মীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘এখন তাঁরা যদি বলে ভেতরে অনেকে যুক্ত রয়েছেন, রাঘব বোয়ালরা আছেন—তাহলে আমাদের বলুক। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিদর্শক দল আছে। তারা এফডিসির সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করে। গত বৃহস্পতিবার তো আমি মাদক বিক্রির স্পটগুলো বিশেষভাবে পরিদর্শন করেছি। নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করছি। তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছি।’

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পরও এফডিসিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে অনেকই বহিরাগত। এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী পরিচালক আমিনুল করিম বলেন, ‘এখন তো সিডাব নির্বাচন, তাই হয়তো কিছু বহিরাগত লোক আছে। নির্বাচনের কারণে আমরা কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। তবে নির্বাচন শেষ হলে এ অবস্থা থাকবে না।’