শাস্ত্রমতে আর নিবন্ধন করে পাওলির বিয়ে

বিয়ের পর পাওলি দাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বিয়ের পর পাওলি দাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভারতের বাংলা ও হিন্দি ছবির আলোচিত তারকা পাওলি দাম বিয়ে করেছেন। দীর্ঘদিনের বন্ধু অর্জুন দেবের সঙ্গে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। কলকাতার হোটেল তাজ বেঙ্গলে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। তাঁরা বিয়ে করেছেন বাঙালি হিন্দু শাস্ত্রমতে। এরপর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে এই হোটেলেই। বিয়ের আসরে বসার আগে পাওলি আর অর্জুন সেরে নেন বিয়ের নিবন্ধন।

শুভদৃষ্টি, সিঁদুর খেলা থেকে সবকিছুই ছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে। সকালে পাওলির লেক গার্ডেনের বাসায় গায়েহলুদ অনুষ্ঠান হয়। বিয়ের দিন পাওলিকে সাজিয়েছেন ডিজাইনার অনিরুদ্ধ চাকলাদার। পাওলি পরেছেন লাল বেনারসি শাড়ি। মিনা করা এই লাল বেনারসি শাড়ি কেনা হয় দিল্লি থেকে। তাঁর গয়নায় ছিল বাঙালিয়ানার ছাপ। বিয়েতে মায়ের ট্র্যাডিশনাল গয়না পরেন তিনি। বিয়ের আসরে পাওলি বলেন, ‘আমার সনাতনী বাঙালি সাজের প্রতি একটু দুর্বলতা রয়েছে। নিজের বিয়েতে তার ব্যতিক্রম হোক, সেটা চাইনি। তাই বাঙালি সাজেই এসেছি।’

শাস্ত্রমতে বিয়ের আগে পাওলি দাম ও অর্জুন দেব তাঁদের বিয়ে নিবন্ধন করেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
শাস্ত্রমতে বিয়ের আগে পাওলি দাম ও অর্জুন দেব তাঁদের বিয়ে নিবন্ধন করেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

পাওলি আর অর্জুনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কলকাতার চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেক তারকা। বিয়েতে ছিল নানা ধরনের খাবারের ব্যবস্থা। বাঙালি থেকে চায়নিজ—সবই ছিল।

অর্জুন দেব গুয়াহাটির ব্যবসায়ী। কিন্তু বেশির ভাগ সময় কলকাতায় থাকেন। বালিগঞ্জে অর্জুনদের বাড়ি রয়েছে। বিয়ের পর পাওলি আর অর্জুন সেখানেই থাকবেন।

হলুদ অনুষ্ঠানে পাওলি দাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
হলুদ অনুষ্ঠানে পাওলি দাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

পাওলির ভাই মৈনাক দাম আগেই জানিয়েছেন, বিয়ের পর ৬ ডিসেম্বর স্বামীর সঙ্গে পাওলি যাচ্ছেন গুয়াহাটি। তাঁদের সঙ্গে যাবেন মৈনাক। তাঁর মা-বাবা পরে যাবেন। ৮ ডিসেম্বর অর্জুনদের বাসায় ঘরোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আর ১০ ডিসেম্বর গুয়াহাটিতে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে।

অর্জুনের বাড়ি গুয়াহাটিতে হওয়ায় শুরুর দিকে সেখানেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু পাওলি জানান, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। কারণ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু আর সহকর্মীরা সবাই কলকাতার। গুয়াহাটিতে যাওয়া তাঁদের জন্য কষ্টসাধ্য হবে। তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা কলকাতায় করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।