তারকা নয়, এবার প্রতিভার জয়

তিনটি পুরস্কার নিয়ে রাজকুমার রাও
তিনটি পুরস্কার নিয়ে রাজকুমার রাও

বলিউডের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলো কয়েক বছর ধরেই পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হওয়ার জন্য সমালোচিত। নাচ-গানে ভরপুর সেসব অনুষ্ঠান নাকি আজকাল আয়োজন করা হয় শুধু নিজের পছন্দের তারকাকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য, এমনটাই দাবি অনেকের। এমনকি এ বছর ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। সেই আসরে অক্ষয় কুমার আর সোনম কাপুরকে পুরস্কার দেওয়ায় অনেকেই নাক সিটকেছেন। তার ওপর বলিউডে স্বজনপ্রীতির বিতর্ক তো আছেই। সব বিতর্কের অবসান হলো গত রোববার সন্ধ্যায় ‘স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে। সালমান খান, শাহরুখ খান আর আমির খানদের কেউ এখানে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাননি। প্রথম সারির তারকা ধরা হয় যাদের, তাঁদের পেছনে ফেলে ইরফান খান, রাজকুমার রাওদের মতো ‘জৌলুশহীন’ অভিনেতারা এবার ‘সেরা’র পুরস্কার পেয়েছেন।

২০১৭ সাল বলিউডের জন্য খরার বছর। বড় বাজেটের কোনো ছবিই এ বছর তেমন সাফল্যের মুখ দেখেনি। কম বাজেটের পারিবারিক ছবিই দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চেও পাওয়া গেল তার আভাস। দর্শক জরিপ আর সমালোচকদের বিচারে প্রতিভাবান শিল্পীরা এবার পুরস্কৃত হয়েছেন। বছর শেষে হলেও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের বদনাম বুঝি এবার ঘুঁচতে চলল।

‘হিন্দি মিডিয়াম’ ছবির জন্য এ বছর দর্শক জরিপে সেরা অভিনেতা হয়েছেন ইরফান খান
‘হিন্দি মিডিয়াম’ ছবির জন্য এ বছর দর্শক জরিপে সেরা অভিনেতা হয়েছেন ইরফান খান

স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড আসরে এবার সর্বাধিক পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছে ‘দঙ্গল’। সেরা অভিনেত্রী ও সেরা পরিচালকের পুরস্কারসহ ‘তুমহারি সুলু’ ঘরে তুলেছে তিনটি পুরস্কার। সমালোচকদের রায়ে সেরা ছবি হয়েছে ‘নিউটন’। এই ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন রাজকুমার রাও। তিনিই আবার ‘বরেলি কি বরফি’ ছবির জন্য পেয়েছেন সেরা পার্শ্ব-অভিনেতার পুরস্কার।

এক নজরে ‘স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ 

সেরা ছবি

নিউটন

 

সেরা নায়ক

রাজকুমার রাও (নিউটন)

 

সেরা নায়িকা

বিদ্যা বালান (তুমহারি সুলু)

 

সেরা নায়ক (জনপ্রিয়)

ইরফান খান (হিন্দি মিডিয়াম)

 

সেরা পার্শ্বনায়ক

রাজকুমার রাও (বরেলি কি বরফি)

সেরা পার্শ্বনায়িকা

নেহা ধুপিয়া (তুমহারি সুলু)

 

সেরা পরিচালক

নিতেশ তিওয়ারি (দঙ্গল)

 

সেরা সংগীত পরিচালক

প্রিতম চক্রবর্তী (দঙ্গল)

 

সেরা গীতিকার

অমিতাভ ভট্টাচার্য (দঙ্গল)

সেরা সংগীতশিল্পী (পুরুষ)

অরিজিৎ সিং (রাইস ও জাগ্গা জাসুস)

সেরা সংগীতশিল্পী (নারী)

শাশা তিরুপতি (শুভ মঙ্গল সাবধান)

সেরা নবাগত পরিচালক

সুরেশ ত্রিবেনী (তুমহারি সুলু)

সেরা নৃত্য পরিচালক

শিয়ামাক দাবর (‘উল্লু কা পাট্‌ঠা’—জাগ্গা জাসুস)

সেরা সম্পাদনা

বাল্লু সালুজা (দঙ্গল)

সেরা আবহসংগীত পরিচালক

প্রিতম চক্রবর্তী (দঙ্গল)

সেরা সংলাপ

অশ্বিনী আয়ার তিওয়ারি ও নিতেশ তিওয়ারি (বরেলি কি বরফি)