'হালদা' বচন

>

১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত নতুন ছবি হালদা। ছবিটি দেখে অনেক তারকা স্ট্যাটাস দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। তারই তিনটি সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হলো এখানে

সুবর্ণা মুস্তাফা  অভিনেত্রী
সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনেত্রী

সুবর্ণা মুস্তাফা

অভিনেত্রী

হালদা দেখে বের হলাম। ধন্যবাদ তৌকীর আহমেদকে এত পরিচ্ছন্ন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য। অভিনয়সমৃদ্ধ একটি সিনেমা হালদা

মোশাররফ করিমকে বহু দিন পর আবার ফিরে পেলাম। কাউকে অসম্মান না করেই বলছি, গৎবাঁধা চরিত্রের ভিড়ে মেধাবী এই অভিনেতাকে খুবই মিস করছিলাম। জাহীদ হাসান তাঁর পরিচিত পথের বাইরে হেঁটেছেন, অত্যন্ত সফল তাঁর এই পদচারণা। ফজলুর রহমান বাবু, দিলারা জামান, রুনা খান, শাহেদ আলী সুজন, প্রত্যেকের চরিত্রায়ণ হৃদয় স্পর্শ করে।

তিশার কথা আলাদা করেই বলতে হবে। আমার দেখা এটি তিশার শ্রেষ্ঠ অভিনয়। তিশাকে অভিনন্দন।

হালদা চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণে মন জুড়িয়ে যায়, চোখ জুড়িয়ে যায়। সমুদ্র, নদী, আকাশ, সর্ষে ফুল, দিন, রাত বড়ই সুন্দর। আবহ সংগীত চমত্কার।

তৌকীর আহমেদ এই সময়ের সফলতম চলচ্চিত্র নির্মাতা।

লুৎফর রহমান জর্জ
লুৎফর রহমান জর্জ

লুৎফর রহমান জর্জ
অভিনেতা

পরিবেশ ও নদী নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের আন্দোলন দেখেছি, সভা কিংবা সমাবেশ দেখেছি। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তকে পড়েছি নানা গল্প, নানা লেখালেখি। কিন্তু চলচ্চিত্রের নিরন্তর দৃশ্যকল্পের মধ্য দিয়ে সেই অন্দোলন-প্রতিবাদের ভাষা এতটা চমৎকার ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপিত হতে পারে, সেটা বোধ হয় ভাবনায় আসেনি কখনো। আজ হালদা সিনেমা আমাকে যেন তা-ই জানান দিয়ে গেল। যে পরিবেশে-নদী ও নারীর মতো এমন একটি মানবিক বিষয় তৌকীরের ভাবনার আঙিনায় বাসা বাঁধতে পেরেছে। অনিন্দ সৃজনশীল নৈপুণ্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টিকে আমাদের কাছে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
কেননা, ওই একটি মা মাছের ডিমে কোটি টাকার মাছ উৎপাদিত হয়। আর সেই উৎপাদনের সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকা কতটা নিবিড়ভাবে জড়িত, তা ফুটে উঠেছে ছবির কুশীলব ফজলুর রহমান বাবু, তিশা ও মোমেনা চৌধুরীর স্বাভাবিক অভিনয়শৈলীতে। বন্ধুবর অনুজ তৌকীরের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। হালদার জন্য শুভকামনা।

গাউসুল আলম শাওন
গাউসুল আলম শাওন

গাউসুল আলম শাওন
প্রধান নির্বাহী, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং

তৌকীর ভাইয়ের সব ছবিতেই একটা অন্য রকম বাংলাদেশের খোঁজ পাওয়া যায়, নিজেদের একটা গল্পের দেখা পাওয়া যায়। আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে নিজেদের গল্প বলতে পারার সাহসটাই আমাদের অস্তিত্বের গুরুত্ব বহন করবে।