মারুন ফাইভের রাজ্যে

ছেলেগুলোর তখন দুরন্তপনার শুরু। হাইস্কুলে পড়ত। সময়টা ১৯৯৪। অ্যাডাম লিভাইন, জেসি কারমাইকেল, মিকি ম্যাডেন, রায়ান ডাসিক মিলে গড়ল গানের দল ‘কারাস ফ্লাওয়ারস’। তাদের প্রথম অ্যালবাম উই লাইক ডিগিং? কলেজে ভর্তির পর দলের নাম বদলে রাখা হলো ‘মারুন ফাইভ’। এবার চেনা গেল তো? হ্যাঁ, মার্কিন পপ গানের দল মারুন ফাইভের কথাই হচ্ছিল। নতুন নামের দলটির প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম সংস অ্যাবাউট জেন বের হয় ২০০২ সালে।

দিন গেছে, তারা চড়েছে খ্যাতির শীর্ষ থেকে শীর্ষে। প্রতিটি অ্যালবামের কোনো না কোনো গান কিংবা পুরো অ্যালবামটিই হয়তো বিলবোর্ডের তালিকায় জ্বলজ্বল করে আলো ছড়িয়েছে। আর এ বছরের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত যেন মারুন ফাইভেরই রাজত্ব চলছে। শুরুর দিকে তাদের ‘কোল্ড’ গানটা ছিল এক নম্বরে। সম্প্রতি বের হওয়া রেড পিল ব্লুজ অ্যালবামটি ছুঁইছুঁই করতে দেখা গেছে বেস্ট টু হানড্রেড-এর শীর্ষে। অ্যালবামটির ‘হোয়াট লাভারস ডু’ গানটি আছে শীর্ষ দশের নয় নম্বরে। তাদের সর্বশেষ, অর্থাৎ পঞ্চম অ্যালবামের নাম ফাইভ। রেড পিল ব্লুজ তাদের ষষ্ঠ অ্যালবাম।

মার্কিন বিনোদন মিডিয়া বিলবোর্ড বলছে, রেড পিল ব্লুজ অ্যালবামের গানগুলোর সুর-তাল শ্রোতাদের রোলার কোস্টারে চড়ার আনন্দ দেবে। অ্যালবামের প্রচ্ছদে রয়েছে হাল আমলের ছোঁয়াচ। স্ন্যাপচ্যাট থেকে ছবি এনে তৈরি করা হয়েছে সেটি। দলের সদস্য অ্যাডাম লিভাইনের কথা হচ্ছে, ‘আমরা সবাই স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করি। এর ফিল্টারগুলো এখন সংস্কৃতির বড় একটি অংশে পরিণত হয়েছে। ভাবলাম, সরাসরি দলের ছবির চেয়ে এটা মজার হবে।’ দলের গিটারিস্ট জেমস ভ্যালেন্টাইন অবশ্য আসল ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছেন। এ আইডিয়াটা নাকি অ্যাডামের একার নয়, তাঁর স্ত্রী মডেল বেহাতি প্রিন্সলুরও অবদান আছে। দূরে থাকলে তাঁরা নাকি একে অপরকে সারাক্ষণ স্ন্যাপচ্যাটের ফিল্টার করা ছবি পাঠাতে থাকেন।

এ বিষয়ে দলের অবশ্য একটি বার্তা আছে। তাঁরা স্ন্যাপচ্যাটের বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে সবাইকে বোঝাতে চেয়েছেন অন্য কথা। মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করে। তাই তাঁরাও নিজেদের ভিন্ন ‘চেহারা’ সবাইকে দেখালেন। গভীর কথাটা না বুঝলেও অ্যালবামের প্রচ্ছদ দেখে মজা তো পাবেন নিশ্চয়ই।

সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন

বিলবোর্ড অবলম্বনে