একটি নাটকের ৭০০ প্রদর্শনী!

‘কঞ্জুস’ নাটকের দৃশ্য
‘কঞ্জুস’ নাটকের দৃশ্য

লোক নাট্যদলের ‘কঞ্জুস’ নাটকের ৭০০তম প্রদর্শনী হবে ১৫ ডিসেম্বর। ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এই বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। নাটকের এই সংগঠনটির প্রধান লিয়াকত আলী লাকীর মতে, এবারই প্রথম মঞ্চে বাংলাদেশের কোনো নাটকের ৭০০তম প্রদর্শনী হচ্ছে। তাই এ ঘটনাকে তাঁরা ‘মাইলফলক স্পর্শ’ বলে মন্তব্য করছেন।

ফরাসি নাট্যকার মলিয়ের ‘দ্য মাইজার’ অবলম্বনে নাটকটির রূপান্তর করেছেন তারিক আনাম খান। নির্দেশনা দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে নাটকটি মঞ্চস্থ হচ্ছে। আর তা সম্ভব হয়েছে দর্শকের কারণে। আমরা “কঞ্জুস” নাটকটি নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবদ্দশায় মলিয়ের সমালোচকদের দ্বারা নানাভাবে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাটক দেশে দেশে মানুষের মধ্যে কত যে শক্তি সঞ্চয় করেছে, তা “কঞ্জুস” নাটকটি দিয়েই বোঝা যায়।’

‘কঞ্জুস’ নাটকে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন আর সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। পুরান ঢাকার কৃপণ হায়দার আলী খানের সংসারের নানা ঘটনা নিয়ে এগিয়েছে নাটকটির কাহিনি। তাঁর ছেলে কাযিম আলী খান ও মেয়ে লাইলী বেগম। পাশের মহল্লার মর্জিনার প্রেমে পড়ে কাযিম। আর ছদ্মবেশী প্রেমিক গৃহকর্মী বদি মিঞার সঙ্গে চলে লাইলীর মন দেওয়া-নেওয়া। সমস্যা বাঁধে যখন কঞ্জুস হায়দার আলী ছেলের প্রেমিকাকে বিয়ে করার ফন্দি করেন। আর ছেলের সঙ্গে এক বিধবা নারীর বিয়ে ঠিক করেন। অন্যদিকে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন ৫০ বছর বয়স্ক বন্ধু মির্জা আসলাম বেগের সঙ্গে। এ নিয়ে প্রতি মুহূর্তেই হাসি-তামাশার মধ্য দিয়ে ঘটতে থাকে নানা ধরনের ঘটনা। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির গল্প।