দেশের গান গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করি

দিনাত জাহান
দিনাত জাহান

আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনসহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সরাসরি গান গাইবেন সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান

বিজয় দিবসে কোথায় কোথায় গান করবেন?

সকালে চ্যানেল আইয়ের বিজয় মেলা অনুষ্ঠানে গান করব। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে গান পরিবেশন করব। সন্ধ্যার পর গাইব গুলশান ক্লাবে। এরপর রাতে এনটিভিতে সরাসরি একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেব। সব আয়োজনেই গাইব দেশের গান।

বেশির ভাগ সময় আপনি সরাসরি গানের অনুষ্ঠানগুলোতে দেশের গান পরিবেশন করেন। এটা কি দায়িত্ববোধ থেকে সচেতনভাবেই করেন?

যখন মঞ্চে গান করি, প্রথমে দেশের একটি গান গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করি। দেশে, দেশের বাইরে—সবখানেই এ কাজটি করি আমি। তা ছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস—এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলোর প্রাণই তো দেশের গান। দেশের জন্য তো তেমন কিছুই করতে পারিনি, এখন ১২ লাইনের বাংলা গানের মধ্য দিয়ে যদি দেশের কথা তুলে ধরতে পারি, তাতেই মনে হয় দেশের জন্য কিছু একটা করা হচ্ছে।

আপনি তো উপস্থাপনাও করেন...

হ্যাঁ, দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করি। একটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘প্রিয় শিল্পী প্রিয় গান’, অন্যটি একুশে টেলিভিশনে ‘আমার অ্যালবাম’। এটি যে আমার খুব পছন্দের কাজ, তা নয়। প্রযোজকদের কারণেই আমাকে এই দুটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে হচ্ছে। তবে দুটি অনুষ্ঠানই গানের হওয়ায় উপস্থাপনা উপভোগ করছি।

‘গহীন বালুচর’ ছবিটি এ মাসেই মুক্তি পাবে। তার আগেই আপনার আর বাপ্পা মজুমদারের দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘ভালোবাসায় বুক বাঁধাইয়া’ গানের ভিডিওটি আলোচনায় এসেছে। কেমন লাগছে?

এই দীর্ঘ সময়ে অনেক গান করেছি। তবে এই গানটি মুক্তির প্রথম দিন থেকেই বড় বড় মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছি। এখন যেখানেই যাই, সেখানেই এই গানের প্রশংসা শুনি। এ জন্য গহীন বালুচর ছবির পরিচালক, গানটির সুরকার ও ছবির শিল্পীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

আপনার মেয়েরাও তো গান করে। তাদের আপনার মতো করেই গড়তে চান?

আমি চেয়েছি, কিন্তু তারা রাজি নয়। তারা গানকে পেশা হিসেবে নিতে চায় না। ভালো করে পড়ালেখা শেষ করে নিজের মতো প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। তবে মিউজিক নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা আছে। বড় মেয়েটা গিটার ও পিয়ানো শিখছে আর ছোটটা ড্রামস। আমি খুশি যে তারা তাদের ভালো লাগার জায়গাটা ছোটবেলা থেকেই বেছে নিয়েছে।

সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন