বছরের হিট

>

টেলিভিশন নাটকে দর্শকখরা ছিল গত কয়েক বছর। তবে এ বছর খানিকটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে। বেশ কিছু নাটক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হয়েছে আলোচনা। টেলিভিশনে মিস করলেও অনেকে আলোচিত নাটকটি দেখেছেন ইউটিউবে। সব মিলিয়ে দর্শক ফিরেছেন টেলিভিশন নাটকের কাছে। জানাচ্ছেন হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক

বড় ছেলে টেলিছবিতে অপূর্ব ও মেহ্জাবীন
বড় ছেলে টেলিছবিতে অপূর্ব ও মেহ্জাবীন


‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ এবং ‘অস্থির সময়ে স্বস্তির গল্প’
২০১৬ সালের ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র আয়নাবাজির নির্যাস নিয়ে ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানমালায় টানা সাত দিন প্রচারিত হয়েছে ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ প্রকল্পে সাতটি নাটক। ঈদুল ফিতরের এই আয়োজনে নির্মিত নাটকগুলোর বাজেট ছিল বেশ। কিন্তু শুধু অমিতাভ রেজা নির্মিত মার্চ মাসে শুটিং ছাড়া কোনো নাটকই তেমন আলোচনায় আসেনি। প্রচুর ঢাকঢোল পিটিয়ে এই সিরিজ শুরু হলেও দিন শেষে হতাশই হয়েছেন দর্শক। তবে পরে ঈদুল আজহায় অমিতাভ রেজার তত্ত্বাবধানে প্রচারিত ‘অস্থির সময় স্বস্তির গল্প’ প্রকল্পের সাতটি নাটক দেখে নড়েচড়ে বসেন দর্শক। টিভিতে যাঁরা দেখতে পারেননি, তাঁরা চোখ রাখেন ইউটিউবে। নাটকগুলোর মধ্যে কথা হবে তো?, হোটেল অ্যালবাট্রস, মাহুত, শ্যাওলা দর্শক লুফে নিয়েছেন।
দুটো উদ্যোগেরই ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। ২০১৮ সালে এ রকম কোনো ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ ও ‘অস্থির সময়ে স্বস্তির গল্প’-এর মতো কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে নাটক নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাব না। নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করব। তবুও দেখা যাক।’

আবার কি উদ্যোগী হবে ছবিয়াল?
এ বছরের ঈদুল ফিতরে ‘ছবিয়াল রি-ইউনিয়ন’ নামে নতুন একটি উদ্যোগ নেন ছবিয়ালের প্রধান মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাঁর তত্ত্বাবধানে ছবিয়ালের ১২ নির্মাতার নাটক নির্মাণের কথা ছিল। তবে ওই ঈদে নির্মাণ করেছিলেন সাতজন নির্মাতা। প্রতিটি নাটক দর্শক পছন্দ করলেও আদনান আল রাজীব নির্মিত বিকেল বেলার পাখি দর্শক আলোচনার শীর্ষে ছিল। ফজলুর রহমান বাবু ও অ্যালেন শুভ্রর অভিনয়ের প্রশংসা হয় সবখানে। এ ছাড়া মিস্টার জনি, চিকন পিন-এর চার্জারসহ বেশ কিছু নাটক দর্শকের সাড়া পায়। তবে পরের ঈদে প্রচারের জন্য বাকি পাঁচ নির্মাতার নাটক নির্মাণের খবর আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বললেন, ‘নানা ধরনের কাজের চাপে আর নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে আগামী বছর ছবিয়াল নিয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামব। দর্শকেরা নতুন আয়োজন দেখবেন।’

সবকিছু ছাপিয়ে ‘বড় ছেলে’
বছরের আলোচিত-সমালোচিত ও দর্শকপ্রিয় টেলিছবির তালিকায় আছে বড় ছেলে। মিজানুর আরিয়ানের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটি চ্যানেল নাইনে প্রচারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর সাড়া ফেলে। টেলিছবিটি দেখাই যেন হয়ে যায় একটা ‘স্ট্যাটাস’। দাবি ওঠে সিক্যুয়াল নির্মাণের। নির্মাতা আরিয়ান বলেন, ‘সিক্যুয়েল বা বড় ছেলের অনুপ্রেরণায় নাটক বা টেলিছবি নির্মাণের কোনো ইচ্ছা নেই। নতুন কিছু তৈরির ইচ্ছা আছে।’ এরই মধ্যে এই নির্মাতা প্রবাসী নামে একটি ঈদের নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা ও চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করেছেন।