'রসরাজ'-এর সঙ্গে কিছুক্ষণ

পণ্ডিত যশরাজ lছবি: আবদুস সালাম
পণ্ডিত যশরাজ lছবি: আবদুস সালাম

যশরাজ-কন্যা দুর্গা যশরাজ দুটি ঘটনার কথা বললেন গতকাল বৃহস্পতিবার। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি এক আয়োজনে ডাকলেন যশরাজকে। মে মাস, রাত ছিল পূর্ণিমার। আকাশও পরিষ্কার। কিন্তু যশরাজের সেদিন খুব ধুলিয়া মালহার গাইতে ইচ্ছা করছে। বর্ষার আগে ধূলিঝড় হয়, তারপর বৃষ্টি নামে—এর সুর নিয়েই রাগ ধুলিয়া মালহার। যশরাজ গাইতে শুরু করলেন। ২০ মিনিটের মধ্যে শুরু হয়ে গেল ধূলিঝড়, তারপর প্রচণ্ড বৃষ্টি! প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ি সেদিন যশরাজের নাম দিলেন ‘রসরাজ’।

আরেকবার কাশীর একটি মন্দিরে যশরাজ গাইছিলেন রাগ তোড়ি। সেদিন প্রচণ্ড ভিড় ছিল। যশরাজের গান শুনে ওই ভিড়ের মধ্যেও কোথা থেকে কে জানে, মঞ্চের কাছাকাছি চলে এল একটি হরিণ! গান শেষে হরিণও চলে গেল নিজের মতো করে।

জীবনের ১৪টি বছর কলকাতায় ছিলেন বলে পণ্ডিত যশরাজ বাংলা বলেন খুব ভালো। বাংলাতেই বললেন, প্রতিদিন ভালো পারফরম্যান্স হয় না। রাগ ও রান্না মাঝেমধ্যে ভালো হয়। কখনো কখনো যে রাগ গাইবার কথা ভেবে নিজের সুরমণ্ডলটি ঠিক করে নেন, সেটি পরে বদলে যায়। যশরাজ বলেন, ‘একটা হাওয়া আসে, যে বলে দেয়, এখন তুমি এটা গাও।’

সংগীতের সোনালি যুগ ব্যাপারটি বিশ্বাস করেন না যশরাজ। তাঁর কাছে সব যুগই সোনালি যুগ। তাঁর মতে, আগেকার দিনের রাগসংগীত যদি হিমালয়ের মতো সুউচ্চ হয়, তবে এখনকার সংগীত সমুদ্রের মতো সুবিস্তৃত। শাস্ত্রীয় সংগীতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেই মনে করেন তিনি।

আজকের সূচি

নৃত্যাঞ্জলি (মণিপুরি, ভরতনাট্যম ও কত্থক): সুইটি দাস চৌধুরী, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক তুষার ও জুয়াইরিয়াহ মৌলি; সরোদ: বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়;

খেয়াল: ওস্তাদ রশিদ খান; সরোদ ও বেহালা: পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার ও ড. মাইসোর মঞ্জুনাথ; খেয়াল: পণ্ডিত যশরাজ; চেলো: সাসকিয়া রাও দু-হাস; সেতার: পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়।