নতুন বছরে ছয়টি ছবি

>

আজ সারা দেশে শতাধিক হলে সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিত পুত্র ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের গল্প নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৈরি এই ছবির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। প্রথম আলোকে বললেন এই ছবি ও তাঁর অন্যান্য কাজের কথা।

ফেরদৌস
ফেরদৌস

বছরের শুরুতেই সামাজিক ইস্যুভিত্তিক একটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে, ছবির শিল্পী হিসেবে কেমন লাগছে?

বছরের শুরুটা হচ্ছে ভালো একটি উদ্যোগের অংশ হয়ে। আমরা যাঁরা এই ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাঁরা সবাই নামমাত্র পারিশ্রমিক নিয়ে কাজটি করেছি। শুটিংয়ের প্রায় তিন বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তাই সব মিলিয়ে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।

এত দিন পর মুক্তি কেন? জানেন কিছু?

২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পুত্র ছবির শুটিং শেষ হয়। এর পরপরই ছবির পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেই সময়ে ছবিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল চ্যানেল আই। এখন নেই। মনে হয়েছিল হয়তো ছবিটি আর মুক্তিই পাবে না। শেষ পর্যন্ত জাজ মাল্টিমিডিয়ার সহযোগিতায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। তাই দেরি হলেও ভালো কিছুর প্রত্যাশাই করছি।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ‘পুত্র’যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে, এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

সরকারি খরচে তৈরি কিংবা অনুদানের ছবিগুলো সাধারণত একটা-দুটো হলে মুক্তি পেতে দেখি। কিন্তু যেহেতু ছবিটি একটি নির্দিষ্ট সামাজিক ইস্যুকে নিয়ে তৈরি, তাই তথ্য মন্ত্রণালয় চেয়েছে পুত্র যেন অনেক মানুষের কাছে পৌঁছায়। এ জন্য বেশিসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। তাই পুত্র পরিবেশনের জন্য জাজ মাল্টিমিডিয়াকে অনুরোধ করে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। ছবিটি দেখে জাজ মাল্টিমিডিয়াও ইতিবাচক সাড়া দেয়। এটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।

২০১৮ সালে আর কী কী ছবি আসছে আপনার?

নতুন বছরে আমার ছয়টি ছবি মুক্তি পেতে পারে। পোস্ট মাস্টার ৭১, মেঘকন্যা পবিত্র ভালোবাসা—এই তিনটি ছবির শুটিং শেষ। বাকি তিনটি বিউটি সার্কাস, গন্তব্য শূন্য হৃদয় ছবির শুটিং চলছে।

এর মধ্যে দুটি ছবির প্রযোজক আপনি। চলচ্চিত্র প্রযোজনার খবর কী?

নতুন গল্প লেখার কাজ চলছে। শেষ হলেই ছবি প্রযোজনার ঘোষণা দেব। বরাবরের মতো এবারও নতুন পরিচালক নিয়ে কাজ করব।
সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন