কথা কম বলো, শোনো বেশি

সাইফ আলী খান
সাইফ আলী খান

‘কালাকান্দি’র পরিচালক অক্ষত জানিয়েছিলেন যে, এই ছবিতে বলা হয়েছে যখন কেউ মৃত্যুর কাছে থাকে, তখন তার আসল চেহারাটা সামনে আসে। এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

এ ব্যাপারে আমি কখনো ভাবিনি। তবে আমি আজকের ওপর নির্ভর করে বাঁচতে ভালোবাসি। কাল তো যেকোনো কিছু হতেই পারে। সব শেষও হয়ে যেতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। আমি হয়তো আরও ৩০ বছর বাঁচতে পারি। জীবনে আসলে ভারসাম্য থাকা জরুরি। জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা খুব দরকার। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এসব আমি উপলব্ধি করছি, সংযত হতে শিখেছি।

‘কালাকান্দি’র মতো ব্ল্যাক কমেডি ছবির চিত্রনাট্য শুনে প্রথমে আপনার মাথায় কী এসেছিল?

আমি এই ছবিটাকে কখনো ব্ল্যাক কমেডি ছবি বলব না। ছবিটির চিত্রনাট্য শুনে আমার দারুণ লাগে। গল্পটি শুনেই আমি হাসতে থাকি। এক রাতের তিনটি আলাদা কাহিনি।

আপনার এই ছবির ট্রেলারে আপনাকে মাদক নিতে দেখলাম। বর্তমান প্রজন্মের জন্য মাদক একটা বড় সমস্যা। এ ব্যাপারে কী বলবেন?

এটা আজকের সমস্যা নয়। এ সমস্যা অনেক দিনের। তরুণদের মধ্যে এত এনার্জি থাকে যে এই বয়সে তাদের ভুল পথে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। তাই আমাদের উচিত তাদের সঠিক পথে চলতে সহযোগিতা করা। তবে এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের চেয়ে বেশি ভূমিকা বন্ধুদের। বাবা-মায়ের চেয়ে তারা বন্ধুদের কথা বেশি শোনে।

আপনি একসময় ‘চেইন-স্মোকার’ ছিলেন। বিয়ের পর কি সিগারেট ছাড়লেন?

আমি অতিরিক্ত ধূমপান করতাম। ডাক্তার বলেছিলেন, আমি সিগারেট না ছাড়লে জীবন আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। তাই বিয়ের আগেই ধূমপান ছেড়ে দিই।

আপনার বাবা নবাব পতৌদি কখনো চাননি আপনি ক্রিকেটার হন?

বাবা ভীষণই বুঝদার ছিলেন। বাবা কখনোই আমাকে চাপে রাখতে পছন্দ করতেন না। বরং আমি চেয়েছিলাম ক্রিকেটার হতে। আমি ছোটবেলায় স্কুল-কলেজে ক্রিকেট খেলতাম। তারপর আর খেলা হয়নি।

কখন অভিনেতা হওয়ার ভূত মাথায় চেপে বসল?

একটার পর একটা পরীক্ষায় ফেল করলাম। সব পথ বন্ধ হয়ে গেল। তখন মনে হলো দিল্লিতে না থেকে মুম্বাই গিয়ে অভিনয় করি। তা-ই করলাম। মুম্বাইয়ে এসে আমি অভিনয়ের ক্লাসে যেতাম। খুব মজা করতাম। প্রথম ছবিতে অভিনয় করে ২০ হাজার রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম।

বলিউডে ২৫ বছর। কেমন ছিল অভিজ্ঞতা? কী শিখলেন?

অনেক চড়াই-উতরাই পথ পেরিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। এখনো শিখে যাচ্ছি। তবে গত বছর থেকে অভিনয় নিয়ে অনেক নতুন কিছু ভেবেছি, জেনেছি। তাই রেঙ্গুন, শেফ, কালাকান্দির মতো গতানুগতিক ধারার বাইরের ছবি করলাম। আমার আগামী ছবি বাজার। বাণিজ্যিক ছবি হলেও সেটাও গতানুগতিক ধারার বাইরে হবে। আর এত বছরে কী শিখলাম? কথা কম বলো, শোনো বেশি। জীবনে শান্তি রাখো। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাও। জিম এবং ডায়েট করো।