জন্মদিনে মা-বাবাকে স্মরণ করেছেন বন্যা

‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছবি: চ্যানেল আই
‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছবি: চ্যানেল আই

আজ ১৩ জানুয়ারি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন। আজ শনিবার সকালে চ্যানেল আইয়ের ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে তিনি মা-বাবাকে স্মরণ করেছেন। জানালেন, বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা স্কুলশিক্ষক। বাবা রবীন্দ্র-অনুরাগী ছিলেন। বাবার মুখে কবিতা শুনেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। যখন সংগীত নিয়ে পড়তে যেতে চেয়েছিলেন, তখন বাবা একটু আপত্তি করলেও সমর্থন দিয়েছিলেন মা। বললেন, ‘গানকে পেশা হিসেবে বেছে নেব, তা ভাবেননি কখনো। গান যখন পেশা হয়েই গেছে, তখন বাবা-মা খুব সাপোর্ট করেছেন। তা না হলে এত দূর আসতে পারতাম না।’

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন উপলক্ষে আজ ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে ছিল বিশেষ আয়োজন। চ্যানেল আইয়ের ছাদ-বারান্দা সকাল থেকেই বিশিষ্টজনদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বাঁশির সুরে শুরু হয় অনুষ্ঠান। গাজী আবদুল হাকিমের বাঁশির সুরের রেশ কাটতে না কাটতেই রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘জন্মদিন হয় একজনের, কিন্তু আনন্দ সবার। আনন্দ কখনো একার হয় না। আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলে বাড়ে।’

‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছবি: চ্যানেল আই
‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছবি: চ্যানেল আই

এরপর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সুরের ধারার শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। বন্যাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন তাঁর গুরুভাই সাদি মহম্মদ। এই দুই গুণী শিল্পী মিলে পরিবেশন করেন ‘অমল ধবল পালে’ গানটি। অনুষ্ঠানে ফোন করেন কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সকাল শুরু হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গানে। তাঁর গান জলতরঙ্গের মতো, শরতের আকাশের মতো মনে হয়। এভাবেই থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন।’ আরও ফোন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা আপনাকে পেয়ে গর্বিত। আপনি আরও অনেক দিন রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে থাকবেন—এই কামনা করি। আপনার কাছে আগামী প্রজন্ম শিখছে, নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠছে, এটা আমাদের জন্য অনেক আশার।’

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রশিল্পী আবদুল মান্নান একটি ছবি এঁকেছেন। অনুষ্ঠান শেষে ছবিটি তিনি তুলে দেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার হাতে।