সেন্সর বোর্ডের জন্য মরতে হয়েছিল অমিতাভকে!

অমিতাভ বচ্চন
অমিতাভ বচ্চন

বলিউডের জনপ্রিয় ছবি ‘শোলে’ দেখেননি এমন সিনেমাপ্রেমী দর্শক খুব কম আছে। ছবিটি দেখতে গিয়ে নিশ্চয়ই মনে হয়েছে, জয় চরিত্রে অভিনয় করা অমিতাভ বচ্চনের মৃত্যু না হলেই ভালো হতো। বরং গাব্বার সিংয়ের চরিত্রে রূপদানকারী আমজাদ খানকে মরতে দেখলে বেশি খুশি হতেন দর্শক। এমনটাই নাকি হওয়ার কথা ছিল। ছবি মুক্তির ৪৩ বছর পর ছবিটির পরিচালক রমেশ শিপ্পি বলেন, ‘শোলে’র শেষ দৃশ্য ছিল অন্য রকম। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের আপত্তির মুখে বাধ্য হয়ে গল্পে পরিবর্তন আনতে হয় তাঁকে।

সম্প্রতি পুনে চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভূমিকা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে রমেশ শিপ্পি বলেন, ‘আমি ‘‘শোলে’’ ছবির শেষ দৃশ্য অন্যভাবে শুট করেছিলাম। কিন্তু চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সেই দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তোলে। সঞ্জীব কুমারের পা দিয়ে গাব্বারকে মেরে ফেলা তাঁদের কাছে বেশি নির্মম মনে হয়েছিল।’

‘শোলে’ ছবির পোস্টার
‘শোলে’ ছবির পোস্টার

শিপ্পি বললেন, ভারতে তখন জরুরি অবস্থা চলছিল। দেশের এ পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড রমেশ শিপ্পিকে শেষ দৃশ্য পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন। এই নিয়ে খুব মন খারাপ হয়েছিল রমেশের। কিছুটা চিন্তায়ও পড়ে যান তিনি। শুধু ভাবছিলেন, কী করে তিনি গাব্বার সিংয়ের মৃত্যু দেখাবেন। ঠাকুর চরিত্রটির হাত থাকলে নাহয় পিস্তল দিয়ে গাব্বারকে খুন করা যেত। কিন্তু তাঁর তো হাতও নেই। অগত্যা, পুলিশের হাতে গাব্বারকে সোপর্দ করেই “শোলে” শেষ করতে হয় রমেশকে। ওদিকে মৃত্যু হয় জয় নামের চরিত্রটির। এই চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন। যদিও রমেশ শিপ্পির এই চরিত্রটিকে মারার কোনো ইচ্ছাই ছিল না।

১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সঞ্জীব কুমার, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, জয়া বচ্চন, হেমা মালিনী ও আমজাদ খান। বিবিসি ইন্ডিয়া ১৯৯৯ সালে ছবিটিকে ‘ফিল্ম অব দ্য মিলেনিয়াম’ ঘোষণা করে। এনডি টিভি