অনেক কথা বললেন অপর্ণা

‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক উইমেন কনফারেন্স’–এ অপর্ণা সেন
‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক উইমেন কনফারেন্স’–এ অপর্ণা সেন

 ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা’ নাকি ‘নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা’? প্রায়ই এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় অপর্ণাকে। গতকাল হয়েছিলেন ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে। প্রশ্নটির মোকাবিলা করলেন এভাবে-‘আগে বিব্রত বোধ করতাম। ভাবতাম, আমি শুধুই নির্মাতা। ‘নারী নির্মাতা’ বললে খারাপ লাগত, এখন লাগে না। বরং নারী নির্মাতা পরিচয়ে গর্ববোধ করি। এটা আমার স্বতন্ত্র পরিচয়।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেত্রী ও নারী চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চতুর্থ আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। গতকাল রোববার রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ছিল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। এ দিন সকাল থেকে ছিল তিনটি অধিবেশন। বিকেলের আলোচনায় অংশ নেন ‘তিন কন্যা’ বা ‘পারমিতার একদিন’-এর অপর্ণা সেন। তিনি বলেন, নারী-পুরুষের ব্যাপার নয়, আমার কাছে দিন শেষে মানুষ পরিচয়টাই মুখ্য। কাউকে আঘাত না করাটাই আসল। হৃদয়ের কাছে দায়বদ্ধ থাকাটা জরুরি।’

 ‘সিনেমার আয়নায় পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্যের নারীর তুলনামূলক ধারণা’ ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। লিখিত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ সিডনি লেভিন দিয়েছেন বহু বিচিত্র তথ্য। সেখানে বারবার উঠে আসে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সিনেমায় নারীদের অংশগ্রহণ ও সেসব ছবির মানের বিষয়। সেমিনারের সভাপতি আলিন তাসকিয়ান তুলে ধরেন পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্যের নারী নির্যাতনের ভয়াবহ সব তথ্য।

 ‘তিন প্রজন্মের ইরানি অভিনেত্রী’ পর্বে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিন্ডি লিভেন। এ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন ফাতিমা সিমিন, সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ এবং ভারতের নির্মাতা মধুরিমা সিনহা। ফাতিমা সিমিন বলেন, ‘ইরানের চলচ্চিত্রে শিশু যতটা গুরুত্ব পেয়েছে, নারীও এখন নানা আঙ্গিকে উঠে আসছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমেন এবং জেন্ডার স্টাডি বিভাগের সহায়তায় সেমিনারটি পরিচালনা করেন তরুণ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র প্রযোজনা সমন্বয়ক বার্নাডেটে শার্ম।