ফিরেছে প্যাডিংটন!

প্যাডিংটন টু
প্যাডিংটন টু

হ্যাঁ, ‘প্যাডিংটন ইজ ব্যাক!’ ২০১৪ সালের পর অবশেষে সেই দুষ্টু-মিষ্টি প্যাডিংটন ফিরে এসেছে আবার চলচ্চিত্রের পর্দায়! মনে আছে পেরুর জঙ্গল থেকে এসে কেমন হইচই ফেলে দিয়েছিল ছোট্ট ভালুকটি সেবার? এবার অবশ্য বয়সটা বেড়েছে প্যাডিংটনের। মিলিসেন্ট ক্লাইডি নয়, এবার তার প্রতিপক্ষ এক নাম না জানা চোর। চুরি করে তার সম্পূর্ণ দায়টা প্যাডিংটনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে চোর। পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে প্যাডিংটনকে। এবার কী হবে প্যাডিংটনের? পারবে তো সে নিজের বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসতে, চোরকে পাকড়াও করতে?

কী ভাবছেন? মনে হচ্ছে গল্পটা তো জেনেই ফেলা গেল? উঁহু! একদম নয়। প্যাডিংটন যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাই কেবল জানেন যে প্যাডিংটনে কেবল গল্প নয়, আছে তার চেয়েও বেশি কিছু। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি। প্রথম কিস্তিতে প্যাডিংটন নামের এক বাচ্চা ভালুক তার ঘর ছেড়ে চলে আসে শহরে আর মুখোমুখি হয় নানা রকম মজার সমস্যার। দেখা হয় এক নতুন পরিবারের সঙ্গে, যারা তাকে নিজেদের একজন বানিয়ে নেয়। মাঝে কিছু বিপদ আসে বটে, তবে সেসব পার করে সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে শুরু করে প্যাডিংটন। এবার এই দ্বিতীয় কিস্তিতে পুরোনো সমস্যাগুলো আর নেই। বন্ধু পরিবারটির সঙ্গে থেকে ঠিক মানুষের জীবনেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে প্যাডিংটন। সেই সঙ্গে কথা বলা ভালুক হিসেবে পাওয়া খ্যাতিও তো আছে! কিন্তু ঝামেলা এবারও পিছু ছাড়েনি তার। আর এই নানা রকম মজার ঝামেলা, প্যাডিংটন আর তার স্বপ্ন—এসব নিয়েই এবার আবার সবার সামনে হাজির হয়েছেন পল কিং। প্যাডিংটনের গল্পও তাঁর লেখা। সঙ্গে ছিলেন সিমন ফারনাবি। মাইকেল বন্ডের সৃষ্টি প্যাডিংটন বিয়ার বা প্যাডিংটন ভালুক থেকেই চলচ্চিত্রের প্যাডিংটনের শুরু।

গতবারের মতো এবারও প্যাডিংটনের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন বেন হুইশ। সঙ্গে আছেন হাগ বনভিল, স্যালি হকিনস, ব্রেন্ডান গ্লেসন, জুলি ওয়াল্টারস এবং জিম ব্রোডবেন্টসহ আরও অনেকে। হেডেফিল্মস এবং স্টুডিওক্যানাল প্রযোজিত এই প্যাডিংটনটু নির্মাণ শুরু হয় ২০১৬ সালের অক্টোবরে। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের জুনে কাজ শেষ হয়ে গেলেও পুরো ছবিটি পর্দায় আনতে সময় গড়ায় নভেম্বর পর্যন্ত। গত বছরের ১০ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায় ছবিটি। আর এরপর যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য সব দেশে মুক্তি পায় ১২ জানুয়ারি। প্রথমে দ্য ওয়াইনস্টিন কোম্পানি এবং ডাইমেনশন ফিল্মসের সঙ্গে প্যাডিংটনের ব্যাপারে কাজ করতে চাইলেও পরবর্তী সময়ে হার্ভি ওয়াইনস্টিনের যৌন হয়রানি-কাণ্ডের পর ছবির দায়িত্ব ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পিকচার্সের হাতে চলে যায়।

মানুষকে কেমন টানছে প্যাডিংটন? মাত্র এই কয় দিনেই ৫০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে নির্মিত এই ছবি আয় করেছে ১২৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। কেবল তাই নয়, সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে এটি। ৭১তম ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসে সেরা ব্রিটিশ চলচ্চিত্র এবং পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতাসহ মোট তিনটি বিভাগে মনোনয়ন পায় চলচ্চিত্রটি। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? পুরো বিশ্ব যখন প্যাডিংটনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছে, তখন আপনিই বা বাদ থাকবেন কেন?

সাদিয়াইসলাম