জুটি হচ্ছেন শুভ ও তিশা

তিশা, আরিফিন শুভ ও নওশাবা। ছবি: প্রথম আলো
তিশা, আরিফিন শুভ ও নওশাবা। ছবি: প্রথম আলো

ভারতীয় নির্মাতা অরিন্দম শীলের ‘বালিঘর’ ছবিতে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। তবে তাঁর বিপরীতে কে অভিনয় করছেন, তা জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত। ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘বালিঘর’ ছবি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আরিফিন শুভর সহশিল্পী তিশা। এই অনুষ্ঠানে শুভ ও তিশাকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান অরিন্দম।

‘বালিঘর’ ছবিটি যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে এই ছবির শুটিং শুরু হবে। যৌথ প্রযোজনার এই ছবির বাংলাদেশ অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ক্রিয়েশনস আর ভারতের নাথিং বিয়ন্ড সিনেমা। এই ছবির সংগীত পরিচালনা করবে বাংলাদেশের চিরকুট আর ভারতের বিক্রম ঘোষ। ছবির অভিনয় শিল্পীর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আছেন আরিফিন শুভ, তিশা, নওশাবা এবং ভারত থেকে আবির চট্টোপাধ্যায়, পার্ণো মিত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।

‘বালিঘর’ সিনেমার সবচেয়ে জটিল চরিত্রের নাম মধুময়, এমনটাই বললেন অরিন্দম শীল। এই চরিত্রে অভিনয় করবেন আরিফিন শুভ। অরিন্দম শীল বলেন, ‘মধুময় চরিত্র নিয়ে নানা ভাবনা চিন্তা চলছিল। এর মধ্যে আমি দুবাই ছিলাম। জানতে পারলাম শুভ তখন দুবাইয়ে। ঘণ্টা দুয়েক সময় পেলাম। এরপর আমরা দেখা করি। আধা ঘণ্টার মধ্যে মনে হলো, মধুময় চরিত্রটি শুভ ছাড়া আর কাউকে দিয়ে হবে না।’

অরিন্দম শীল আরও বলেন, ‘শুভর মধ্যে অসম্ভব সম্ভাবনা আছে। পরিচালক হিসেবে আমার যা বিদ্যা-বুদ্ধি আছে, তাতে আমি বলতে চাই, শুভ ভালো একজন অভিনেতা। আমি তাঁকে ছবিতে নিয়েছি অভিনয়গুণের কারণেই। সবার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, শুভর সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, ওর অভিনয় এখনো এক্সপ্লোর করা হয়নি।’

তিশা সম্পর্কে অরিন্দম শীল বলেন, ‘আমি যখন যৌথভাবে ছবি বানাব বলে ঠিক করেছি, শুরু থেকেই একজনকে ঠিক করে রেখেছিলাম। সে হচ্ছে তিশা। আমি তিশার অনেক দিনের ভক্ত। তার অভিনীত “থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার” ও “টেলিভিশন” ছবি দেখেছি। আমি পরিচালনায় এসেছি ২০১৩ সালে। এরই মধ্যে আটটা ছবি মুক্তি পেয়েছে। তিশার মতো শিল্পীরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, তাঁদের নিয়ে কাজ করতে পারার অভিজ্ঞতা দারুণ হবে।’

অরিন্দম শীল। প্রথম আলো
অরিন্দম শীল। প্রথম আলো

‘বালিঘর’ সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে অরিন্দম শীল বলেন, ‘আমার নবম ছবিটি সাত বন্ধুর সম্পর্কের গল্প নিয়ে। ছবিতে দেখা যাবে, সাত বন্ধু ১২ বছর পর একসঙ্গে হয়েছে। তার মধ্যে দুজন ঢাকার, পাঁচজন কলকাতার। তারা বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করা এই বন্ধুদের বন্ধুত্বের প্রধান শক্তি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অথচ এক যুগ পর দেখা হওয়া এই বন্ধুদের সেই তিন-চার দিনের মুখোশ আর মুখোশের আড়ালের সম্পর্কগুলো তীব্রভাবে বেরিয়ে আসে। এটাই আমার নতুন চলচ্চিত্রে পটভূমি।’

যৌথ প্রযোজনার বিষয়ে অরিন্দম শীল বলেন, ‘যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে যা হয়তো আগে কখনো এখানে ঘটেনি, যা নিয়ে এখানে হয়তো অনেকের অভিমান আছে, তা এই ছবির ক্ষেত্রে মোটেও হবে না। আমি শুনেছি, যৌথ উদ্যোগের নাম করে বাংলাদেশে কাজ না করে দেশের বাইরে থেকে পুরো কাজটি করা হয়, এটা কখনোই যৌথ উদ্যোগ হতে পারে না। আমরা সব নিয়ম মেনে কাজটা করার আলোচনা করেছি। এই ছবির মাত্র তিন দিন শুটিং ভারতে হবে, বাকি ১৫-১৬ দিন বাংলাদেশে হবে। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাই না, বাকি কথা আমার ছবিই বলবে। বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকদের একটি সুন্দর চলচ্চিত্র উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা।’