দুপুরের খাবার খেতে দ্বীপে
☀ গল সাহিত্য উৎসবে গান গাইতে চিরকুট এখন শ্রীলঙ্কায়
☀ আয়োজকেরা চিরকুটকে একটি দ্বীপে নিয়ে যায়
☀ ‘ট্যাপরোব্যান আইল্যান্ডে’ সময় কাটিয়ে মুগ্ধ চিরকুটের সদস্যরা
গল সাহিত্য সম্মেলনে গান গাইতে বাংলাদেশের গানের দল চিরকুট এখন আছে শ্রীলঙ্কায়। সেখানেই এই দলের সদস্যদের অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। বাংলাদেশি এই গানের দলের সবাইকে নাকি গতকাল বুধবার দুপুরে আপ্যায়ন করাতে আয়োজক কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায় একটি দ্বীপে, যা তাঁদের জন্য ছিল একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। আয়োজকদের এমন আতিথেয়তায় মুগ্ধ গানের দলটির সদস্যরা। জানিয়েছেন দলটির অন্যতম সদস্য শারমীন সুলতানা সুমী।
২৪ জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার গলে শুরু হয়েছে এই উৎসব। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশের গানের দল চিরকুট। পাঁচ দিনের গল লিটারেরি ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিনও গান করবে বাংলাদেশের এই গানের দল।
সুমী বলেন, ‘আমাদের জীবনে এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। গল সাহিত্য উৎসব আয়োজক কর্তৃপক্ষ আমাদের সব অতিথিকে দুপুরের খাবারের জন্য একটা দ্বীপে নিয়ে যায়। “ট্যাপরোব্যান আইল্যান্ডে” কাটানো সময়টা আমাদের অনেক দিন মনে থাকবে। এ ছাড়া এই দ্বীপে আভিজাত্যের যে নিদর্শন, তা কোনোভাবেই ভোলার নয়।’
শ্রীলঙ্কা থেকে এর আগেও গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের গানের দল চিরকুটকে। ২০১৩ সালে দলটি গান গায় জাফনা সংগীত উৎসবে। এটি শ্রীলঙ্কায় দলটির দ্বিতীয় সফর। সাহিত্য উৎসবে গান গাইতে পারাটাকে অনেক সম্মানের মনে করছেন চিরকুটের সদস্যরা। সুমী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সাহিত্য উৎসব অনেক বড় মাপের আয়োজন। বিশ্বের নামী লেখক, সাহিত্যিক আর প্রকাশকেরা এই উৎসবে অংশ নিতে এসেছেন। দেশের বাইরে তেমন একটা উৎসবে গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়া নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অনেক সম্মানের।’
চিরকুট জানিয়েছে, গল সাহিত্য সম্মেলনে কালও গান গাইবে দলটি। এ ছাড়া ২৮ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার আরেকটি বড় আয়োজনে গান গাইবে তারা। এরপর দেশে ফিরেই ব্যস্ত হবে স্টেজ শো নিয়ে।
চিরকুট ব্যান্ডের যাত্রা শুরু ২০০২ সালে। মঞ্চ পরিবেশনা আর গানের কথার জন্য অল্প সময়েই বাংলাদেশের শ্রোতাদের মন জয় করেছে ব্যান্ডটি। এখন পর্যন্ত তিনটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে চিরকুট। সেগুলো হলো ‘চিরকুটনামা’, ‘জাদুর শহর’ ও ‘উধাও’। চিরকুট ব্যান্ডের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গানের মধ্যে রয়েছে ‘জাদুর শহর’, ‘কানামাছি’, ‘খাজনা’, ‘বন্ধু’, ‘কাটাকুটি’ ‘না বুঝি দুনিয়া’, ‘আহারে জীবন’ ইত্যাদি।