ওপারে জন গ্যাভিন

সাইকো ও স্পার্টাকাস-এর মতো ছবির অভিনেতা ছিলেন জন গ্যাভিন
সাইকো ও স্পার্টাকাস-এর মতো ছবির অভিনেতা ছিলেন জন গ্যাভিন
>
  • ‘সাইকো’ ও ‘স্পার্টাকাস’ ছবির অভিনেতা জন গ্যাভিন মারা গেছেন।
  • ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
  • ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জন গ্যাভিনকে ‘একজন অদ্ভুত সুদর্শন তরুণ’ বলে প্রশংসা করে।

আলফ্রেড হিচককের ধ্রুপদি চলচ্চিত্র ‘সাইকো’, স্ট্যানলি কুবরিকের ‘স্পার্টাকাস’-এর অভিনেতা জন গ্যাভিন মারা গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে নিজ বাড়িতে গত শুক্রবার তিনি মারা যান। ৮৬ বছর বয়সী এ অভিনেতা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।

পঞ্চাশের দশকে চলচ্চিত্রে ‘হ্যান্ডসাম’ নায়ক হিসেবে নিজের নাম লেখান জন। প্রথম সাফল্য আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র আ টাইম টু লাভ অ্যান্ড আ টাইম টু ডাই সিনেমা দিয়ে। এরিখ মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হয়। ছবিটি প্রযোজনা করে ইউনিভার্সেল পিকচার্স। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জন গ্যাভিনকে ‘একজন অদ্ভুত সুদর্শন তরুণ’ বলে প্রশংসা করে।

পরের বছরই প্রখ্যাত অভিনেত্রী লানা টারনারের বিপরীতে গ্যাভিনকে নায়ক হিসেবে নেওয়া হয় ইমিটেশন অব লাইফ সিনেমায়। এরপর তিনি অভিনয় করেন ‘মাস্টার অব সাসপেন্স’খ্যাত আলফ্রেড হিচককের ‘সাইকো’ ছবিতে। পরে স্ট্যানলি কুবরিকের অমর সৃষ্টি ‘স্পার্টাকাস’ ছবিতে জুলিয়াস সিজারের চরিত্র। সিনেমায় নিজের জাত চেনাতে শুরু করেছিলেন জন গ্যাভিন। একে একে অভিনয় করেন ব্যাক স্ট্রিট, রোমানফ অ্যান্ড জুলিয়েট, ট্যামি টেল মি ট্রু ছবিগুলোতে।

ষাটের দশকের শেষের দিকে জন অভিনয় কমিয়ে দেন। ছোট ছোট চরিত্র করেন কিছু চলচ্চিত্রে। টিভিতেও কাজ করেন এ অভিনেতা। স্ক্রিন অ্যাক্টর গিল্ডের সভাপতিও ছিলেন ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। এরই মাঝে তিনি ঝুঁকে পড়েন কূটনৈতিক পেশার দিকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সময়ে মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন তিনি। ইনডিপেনডেন্ট ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস