চরিত্রের পুনরাবৃত্তি পছন্দ করি না

>
নিমরত কউর
নিমরত কউর

নায়িকা হিসেবে মাত্র দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বলিউডের অত্যন্ত পরিচিত নাম নিমরত কউর। তাঁর অভিনীত লাঞ্চ বক্স এবং এয়ারলিফট শুধু সফল ছবি নয়, অভিনেত্রী হিসেবে সবার মন জয় করেছেন তিনি। অল্ট বালাজির ‘দ্য টেস্ট কেস’ ওয়েব সিরিজে তাঁকে দেখা যাবে এক মহিলা কমান্ডো অফিসারের চরিত্রে। কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী নিমরত। বলিউডের দাপুটে এবং সুন্দরী অভিনেত্রী নিমরত কাউরের সামনাসামনি প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্য।

এখন ওয়েব সিরিজের ট্রেন্ড। বড় বড় তারকারাও এই দিকে ঝুঁকছেন। এই ট্রেন্ড কতটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে বলে মনে করেন?

আমার তো মনে ইতিমধ্যেই সবার মধ্যে ওয়েব সিরিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। শুধু হাতে একটা মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ থাকলেই হলো। বড় বড় প্রযোজকেরা এখন ওয়েব সিরিজ বানাতে এগিয়ে আসছেন।

ফিল্ম হোক বা সিরিয়াল, আপনাকে কম দেখা যায়। কিন্তু যখনই পর্দায় আসেন ধামাকা ফেলে দেন।

হা হা হা (সজোরে হেসে), আমি চাই এই বদনামটা ঘোচাতে। তবে এটা আমার হাতে নেই। সব ওপরওয়ালার খেলা। তবে আমি আরও বেশি করে পর্দায় আসতে চাই। কিন্তু আমি যে যে ছবিতে কাজ করি, তা নির্মাণ করতে অনেক সময় লেগে যায়। এয়ারলিফট ছবিটি বানাতে এক বছর লেগেছিল। ‘দ্য টেস্ট কেস’ওয়েব সিরিজে কাজ করছি, নির্মাণ করতেও প্রায় এক বছর লেগেছে। তবে লাঞ্চবক্স এবং এয়ারলিফট এই দুটি ছবি ছাড়া আমি হলিউডে গিয়ে ‘হোমল্যান্ড’ এবং ‘ওয়েওয়ার্ড পাইনস’নামের দুটো সিরিজে কাজ করেছি। তাই বছরের অর্ধেক সময় দেশের বাইরে ছিলাম।

চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেন?

দেখুন, প্রথমত আমি কোয়ান্টিটিতে বিশ্বাস রাখি না। আমি কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি। তাই আমি এমন এক চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি, যে চরিত্রটা আমাকে এক্সাইটেড করে। আর আমি কোনো চরিত্রের পুনরাবৃত্তি পছন্দ করি না। সব সময় নিজেকে নতুন নতুন চরিত্রে মেলে ধরতে চাই। আর আমার মনে হয় আজ পর্যন্ত আমি কোয়ালিটি কাজ করে এসেছি।

আপনার সমসাময়িক কোন নায়িকা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?

(একটু ভেবে) দীপিকা পাড়ুকোন। পর্দা হোক বা পর্দার বাইরে, দীপিকার ব্যক্তিত্ব আমাকে আকৃষ্ট করে। ও সব ক্ষেত্রে নিজেকে খুব সুন্দরভাবে ক্যারি করে।

আপনার সঙ্গে আড্ডা মানে অবধারিতভাবে ‘এয়ারলিফট’ ছবির কথা উঠে আসবে। অক্ষয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

অক্ষয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এক কথায় দুর্দান্ত। ও অত্যন্ত আমুদে, প্রাণবন্ত এক মানুষ। আর অক্ষয়ের মধ্যে আজও অদ্ভুত একটা ছেলেমানুষি আছে। ও ২৪ ঘণ্টা আপনাকে হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতে পারে। অক্ষয়ের সঙ্গে থাকলে কেউ ক্লান্ত হবে না। আর সব থেকে বড় কথা, অক্ষয় খুব কেয়ারিং। এই যে আমি এখন এত কাশছি, যদি অক্ষয় শুনতে পেত, তো এক্ষুনি ওষুধ নিয়ে হাজির হয়ে যেত। ওর সঙ্গে সব সময় মেকআপ দাদা তথা আয়ুর্বেদ ডাক্তার থাকেন। তাঁর কাছে আয়ুর্বেদের সব ধরনের ওষুধ আছে। আর অক্ষয়ের মতো এত শৃঙ্খলাপরায়ণ অভিনেতা আমি দ্বিতীয় দেখিনি। আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। পরপর ১৭টা ছবি ফ্লপ হওয়ার পরও কীভাবে টিকে থাকতে হয়, সেই মন্ত্রও অক্ষয়ের থেকে শিখেছি।

অক্ষয়ের ‘প্যাডম্যান’ মুক্তি পেয়েছে। মেয়েদের পিরিয়ড–সংক্রান্ত নানান সমস্যার কথা তিনি এই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। একজন নারী হিসেবে অক্ষয়ের এই পদক্ষেপকে কীভাবে দেখেন?

আমি গর্বিত অক্ষয়ের এই সাহসী পদক্ষেপে। মেয়েদের এই বিষয় নিয়ে ছবি করার সাহস কেউ আগে দেখায়নি। এর আগে টয়লেট: এক প্রেম কথা অক্ষয়ের আরেকটি সাহসী পদক্ষেপ ছিল। সত্যি অক্ষয়ের জীবনের এ এক সোনালি অধ্যায়।

আপনার জীবনের মন্ত্র কী?

আমার জীবনের মন্ত্র বন্ধনহীন মুক্ত জীবন। আর সামনের দিকে এগিয়ে চলা।