জিয়া হত্যা মামলার শুনানি শুরু, আদালতে সুরজ

>
সুরজ পাঞ্চোলি ও জিয়া খান
সুরজ পাঞ্চোলি ও জিয়া খান
• ২০১৩ সালের ৩ জুন, নিজের বাসায় জিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়
• জিয়া খানকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে সুরজের নামে মামলা হয়
• জিজ্ঞাসাবাদে সুরজ অনেক বিষয়ে মিথ্যা বলেছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা

মডেল ও বলিউডের অভিনেত্রী জিয়া খান হত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বুধবার। এই হত্যা মামলার আসামি তারকা দম্পতি আদিত্য পাঞ্চোলি ও জরিনা ওয়াহাবের ছেলে অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলি। গত মাসের ৩০ তারিখে সুরজ পাঞ্চোলির নামে অভিযোগ গঠন করেছেন মুম্বাইয়ের একটি দায়রা আদালত।

২০১৩ সালে জিয়া খানের মৃত্যুর পর এখনো মৃত্যুরহস্যের জট খোলেনি।

জিয়া খান ছিলেন সুরজ পাঞ্চোলির প্রেমিকা। আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে জিয়ার মা রাবিয়া খান সুরজের নামে মামলা করেন। গতকাল মামলার শুনানিতে মুম্বাইয়ের কোর্টে সুরজ উপস্থিত ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে একজন তদন্ত কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুরজ কিছু অজানা বিষয় সামনে এনেছেন। আবার অনেক বিষয়ে তিনি মিথ্যা বলেছেন বলেও জানান সেই কর্মকর্তা।

জিয়া খান আলোচনায় এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘নিঃশব্দ’ ছবিতে অভিনয় করে। আমির খানের সঙ্গে ‘গজনি’তেও ছিলেন জিয়া। ২০১৩ সালের ৩ জুন, নিজের বাসায় জিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। লাশ প্রথম দেখতে পান মা রাবিয়া খান। তখন থেকেই তাঁর দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যা। মৃত্যুর দুই দিন আগে জিয়া তাঁর প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির বাসায় ছিলেন বলে জানান রাবিয়া খান। মৃত্যুর দিন সকালেই জিয়া সুরজের বাসা থেকে নিজের বাসায় আসেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে মুম্বাইয়ের জুহু পুলিশ উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে জিয়া খানের হত্যা মামলা দাখিল করতে চায়নি। পরে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার মামলায় একই বছরের ১০ জুন সুরজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মুম্বাইয়ের উচ্চ আদালতের রায়ে জামিন পান এই নায়ক।

২০১৫ সালে ‘হিরো’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সুরজের। সেই ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন আথিয়া শেঠি। সুরজকে বলিউডে আনার পেছনে অভিনেতা সালমান খানের ভূমিকা অনেক। হত্যা মামলার একজন আসামিকে চলচ্চিত্রে আনার জন্য সে সময় সালমানকে অনেক সমালোচিত হতে হয়। তথ্যসূত্র: বলিউড বাবল