এই থামে এই চলে ঢাকার চলচ্চিত্র

>
চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে বুবলী ও শাকিব খান
চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে বুবলী ও শাকিব খান
• দুটি ছবিই মোটামুটি আলোচনায় আছে।
• শাকিব খানের কারণে এগিয়ে আছে ‘আমি নেতা হবো’।
• অভিষেকেই প্রশংসিত ‘নূর জাহান’ ছবির নায়িকা পূজা।

নতুন বছরের পুরো জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা মন্দা ছিল। এ সময়ে প্রায় ১০টি ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তবে একটি ছবিও সেভাবে দর্শক আলোচনায় ছিল না। কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আবার খানিকটা চাঙাভাব দেখা দিয়েছে চলচ্চিত্রে।

ভালোবাসা দিবস ঘিরে ১৬ ফেব্রুয়ারি শাকিব খান ও মিম অভিনীত ‘আমি নেতা হবো’ এবং নবাগত পূজা চেরি ও আদ্রিত অভিনীত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘নূর জাহান’ মুক্তি পায়। মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই দুটি ছবিই মোটামুটি আলোচনায় আছে। তবে শাকিব খানের কারণে আলোচনায় এগিয়ে আছে ‘আমি নেতা হবো’ ছবিটি। অন্যদিকে অভিষেকেই চলচ্চিত্রপাড়ায় প্রশংসিত হয়েছেন ‘নূর জাহান’ ছবির নায়িকা পূজা।

এদিকে চলতি মাসের শেষ দিক থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত আবারও খরায় পড়তে পারে ঢালিউড। প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির ছবি মুক্তির নিবন্ধন তালিকা থেকে দেখা গেছে, চলতি মাসে মুক্তির তালিকায় আর কোনো ছবি নেই। মার্চ মাসজুড়ে একাধিক ছবি মুক্তির তালিকায় থাকলেও বড় বাজেটের ছবি আছে শুধুই পাষাণ। এটি ১৬ মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা। এই মাসে স্বপ্নজাল ছবির মুক্তি নিয়েও পরিচালক আছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। ছবিটির পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘মার্চের শেষের দিকে স্বপ্নজাল মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্রের কারণে দেরি হয়ে গেল। আশা করছি, চলতি মাসের শেষে সেন্সর ছাড়পত্র হাতে পাব। এরপর প্রচারের জন্যও সময় নিতে হবে। সব মিলিয়ে মার্চে মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছি।’

জান্নাত ছবিতে সাইমন ও মাহি
জান্নাত ছবিতে সাইমন ও মাহি

তবে এক মাস পরই পয়লা বৈশাখ ধরে এপ্রিল মাসে আবার ঢাকার চলচ্চিত্রে চাঙাভাব ফিরতে পারে। ওই মাসে সম্ভাব্য মুক্তির তালিকায় আছে পোড়ামন ২, একটি সিনেমার গল্প, চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া, স্বপ্নজালসহ প্রায় ৬টি তারকাসমৃদ্ধ বড় বাজেটের ছবি।

এক মাস মোটামুটি ভালো চলছে তো, পরের দুই মাস মুখ থুবড়ে পড়ছে। মাঝে মাঝেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের এভাবে ঝিমিয়ে পড়াকে ভালো চোখে দেখছেন না চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কথা, মাঝে বহু সময় চলে গেছে। এখন একটি স্থিতিশীল জায়গায় চলচ্চিত্রকে আনতে হবে। তা না হলে এই শিল্পকে বাঁচানো যাবে না।

স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরতে হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকেও চলচ্চিত্রকে বের করে আনতে হবে বলে মত দিয়েছেন তাঁরা। পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ছবি মুক্তির পর প্রযোজক ন্যায্য টাকা পাচ্ছেন না। পথে পথে মধ্যস্বত্বভোগীরা পকেটে তুলছেন সেই টাকা। আর প্রযোজক লোকসান মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এ কারণে বড় বাজেটের ভালো ছবিতে কেউই বিনিয়োগ করতে চান না। ফলে নিয়মিতভাবে ভালো ছবি আসছে না। চলচ্চিত্রের বাজার স্থিতিশীল হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে না।’