বোধোদয়

>
পরিষ্কারের আগে পোস্টারে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির টিকিট কাউন্টার
পরিষ্কারের আগে পোস্টারে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির টিকিট কাউন্টার
• পরীক্ষণ থিয়েটারের বুথ আর কোনটি স্টুডিও থিয়েটারের-দেখা যায় না।
• বিজ্ঞাপনী পোস্টারে ঢেকে গিয়েছিল শিল্পকলার টিকিট কাউন্টারটি।
• গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকিটঘরের অবস্থা এমনই ছিল।

কোন জানালায় মিলবে ‘নভেরা’ আর কোন জানালায় ‘গাধার হাট’-এর টিকিট? কোনটি পরীক্ষণ থিয়েটারের বুথ আর কোনটি স্টুডিও থিয়েটারের-দেখা যায় না। বিজ্ঞাপনী পোস্টারে অসহায়ভাবে ঢেকে গিয়েছিল শিল্পকলার টিকিট কাউন্টারটি। ভীষণ অশৈল্পিক। ‘বিউটি গ্রুপ’, ‘নাট্যকর্মী নেওয়া হচ্ছে’, ‘লোকগীত’-এর পোস্টারগুলো ঢেকে দিয়েছিল আগের পোস্টারগুলোকে। যার যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবেই টিকিট কাউন্টারের ওপর সাঁটছে পোস্টার, সেগুলোর ওপর সাঁটছে অন্যরা। যেন এক অস্থির প্রতিযোগিতাপূর্ণ আগ্রাসন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকিটঘরের অবস্থা এমনই ছিল। সেদিন পর্যন্ত ওই কাউন্টারে টিকিট কিনেছেন বহু দর্শক।

টিকিট কাউন্টার পরিষ্কারের পরে
টিকিট কাউন্টার পরিষ্কারের পরে

টিকিট কাউন্টারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত কি না-বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন করা হয় একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়ার কাছে। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই। পরিষ্কার করতে বলে দিচ্ছি।’ নিয়মিত পরিষ্কারের নিয়ম থাকা উচিত কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিষ্কারের আবার নিয়মনীতি কী? করতে হবে।’ তাই প্রতিবেদককে মন্তব্য দেওয়ার পরপরই সেই বোধোদয় থেকে দ্রুত টিকিটঘর পরিষ্কার করা হয়ে গেল। শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে অশৈল্পিক টিকিটঘরের বদলে একদম পরিপাটি রূপ দেখা গেল।

শেষমেশ বোধোদয় হলো। তবে এটা যেন নিয়মিত হয়, সেটাই কাম্য।