রহস্য, রোমাঞ্চ, ভয়ের মিশেলে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি

‘বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর গল্প’ বললেই আমাদের চোখে ভাসে একটা অত্যাধুনিক জগৎ-চোখ ধাঁধানো প্রযুক্তির কারসাজি, রোবট, মহাকাশযান কিংবা সময় পরিভ্রমণ যন্ত্র। নেটফ্লিক্সের ওয়েব টেলিভিশন সিরিজ ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’সে ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম।

১৯৮০ সালের পটভূমিতে এগিয়েছে গল্প। মোবাইল নেই, ইন্টারনেট নেই। ঝাঁ চকচকে গাড়ি নয়, সাইকেলে চড়ে অভিযানে বেরোয় একদল কিশোর। চাপা গলায় তারা কথা বলে ওয়াকিটকিতে। তাদের নির্মল বন্ধুত্ব, ছেলেমানুষি খুনসুটি, শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চ আর মৃদু প্রেমের গল্পে বুঁদ হতে দর্শকের সময় লাগে না। এখন পর্যন্ত দুটি সিজনে সিরিজটির ১৭টি পর্ব মুক্তি পেয়েছে। এরই মধ্যে তৃতীয় পর্ব দেখার জন্য অধীর হয়ে উঠেছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ ভক্তরা। আমাদের দেশের দর্শকের কাছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর আলাদা আবেদনের পেছনে সম্ভবত আরও একটা কারণ আছে। ফেসবুকে সিরিজপ্রিয় তরুণদের গ্রুপগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখতে পাবেন, অনেকেই ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রকিব হাসানের ‘তিন গোয়েন্দা’কে স্মরণ করছেন।

মাইক, ডাস্টিন, লুকাস আর উইল-ওদের দলটা অবশ্য চারজনের। হকিন্স নামের ছোট্ট, নিরিবিলি শহরটা ওরা চার বন্ধু মিলে চষে বেড়ায়। একদিন হঠাৎ হারিয়ে যায় উইল। অন্যদিকে মাইকের বাসায় হাজির হয় এক রহস্যময় কিশোরী, নাম ইলেভেন। ইলেভেনকে সঙ্গে নিয়ে উইলকে খোঁজার অভিযানে নামে মাইক, ডাস্টিন আর লুকাস।

ছবির এই শিশু অভিনয়শিল্পীরা এরই মধ্যে তারকা বনে গেছে। ২০১৭ সালের সবচেয়ে আলোচিত কিশোর-কিশোরীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস। সেই তালিকায় আছে ইলেভেন ওরফে মিলি ববি ব্রাউনের নাম। ১৩ বছর বয়সী মেয়েটির ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম পেজে ভিড় করেছে লাখো ‘ফলোয়ার’।

যারা এখনো ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ দেখেননি, ভাবতে পারেন কয়েকটা বাচ্চা ছেলেমেয়ের কাণ্ডকীর্তি; রহস্য, রোমাঞ্চ ও হররের মিশেলের মধ্যে কী-ই বা এমন জাদু আছে? জানতে হলে সিরিজটা দেখে ফেলতে হবে।