বিচারকদের সঙ্গে একবেলা

বিচারকের আসনে তাহসান খান, সাদিয়া ইসলাম মৌ ও আরিফিন শুভ। ছবি: সুমন ইউসুফ
বিচারকের আসনে তাহসান খান, সাদিয়া ইসলাম মৌ ও আরিফিন শুভ। ছবি: সুমন ইউসুফ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এক স্টুডিওর পুরো খোলনলচে পাল্টে গেছে। শুটিং সেটকে মনে হচ্ছে কোনো বিশাল ফ্যাশন শোর প্রস্তুতি চলছে। সরু রানওয়ে ধরে হেঁটে যাচ্ছেন পরিপাটি মডেলরা। তবে তাঁদের কাউকেই তেমন চেনা যাচ্ছে না। চেনার উপায়ও নেই। কারণ তাঁরা সবাই নতুন। সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা যোগ দিয়েছেন ‘লাক্স সুপারস্টার ২০১৮’ প্রতিযোগিতায়। গতকাল তাঁদের বাছাই প্রক্রিয়ার শুটিংয়ে গিয়ে দেখা গেল পরিপাটি এই নবীনদের মধ্য থেকে সুপারস্টার খুঁজে বের করা আদতে কতটা কঠিন। রীতিমতো এক কর্মযজ্ঞ বটে।

এ বছরের লাক্স সুপারস্টার আসরের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ, গায়ক ও অভিনেতা তাহসান ও আরিফিন শুভ। শুটিং সেটে দেখা গেল, দারুণ ব্যস্ত তাঁরা। তবে মূল প্রতিযোগিতা শুরুর আগে তাঁরা তিনজনই বসলেন প্রথম আলোর মুখোমুখি। বললেন বিচারক হিসেবে তাঁদের গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতার কথা। মিডিয়ায় আসা নতুনদের সম্পর্কে তাহসান বললেন, ‘অনেকেই ভুল করেন। আসেন তারকা হতে। কিন্তু পরিশ্রম করার মানসিকতা ও চেষ্টা থাকলেই কেবল তারকা হওয়া সহজ হয়। শুধু শ্রম আর অধ্যবসায় ছাড়া স্টার হওয়ার চিন্তা করলে সেটা ভুল হবে।’ নিজের তারকাখ্যাতি সম্পর্কে বললেন, ‘আমাদের কাজটাই মানুষ দেখেন। কিন্তু কাজের পেছনে যে পরিশ্রম ও প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটা অনেকেই দেখেন না।’

পরিশ্রম ও চেষ্টার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার আরেক বিচারক অভিনেতা শুভর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনবোধ। এটাই আসলে তাঁকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছে।

একজন মডেল থেকে সুপার মডেল হয়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে জরুরি কী? প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তা বললেন সাদিয়া ইসলাম মৌ। সেটা হলো ‘ডেডিকেশন’ অর্থাৎ অধ্যবসায়। এবারই প্রথম কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে বসেছেন মৌ। বললেন, ‘বিচার কাজটা খুব কঠিন। এর আগে আমাকে অনেকবারই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারক হতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু রাজি হইনি। একটাই কারণ, কারও মন খারাপ করতে ভালো লাগে না। তবে এবার আমার সঙ্গের দুই বিচারকের জন্যই এই আসনে বসা। তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা। আমি ওদের চেয়ে বয়সে বড় হলেও একসঙ্গে বিচার করার কাজটি বেশ উপভোগ করছি।’

উপভোগ যে সবাই করছেন, বোঝা গেল সেটে বসেই। গতকাল বিকেল অবধি শুটিংয়ের প্রস্তুতি চলছিল। ফাঁকে বেশ খুনসুটি করছিলেন তিন বিচারক। যেমন তাহসানকে দেখিয়ে শুভ বললেন, ‘তাহসান ভাই অ্যাফিডেভিট করে নিজের বয়স সাড়ে ২৩-এ আটকে রেখেছেন। আমার ছেলেমেয়েরাও বড় হয়ে এভারগ্রিন এই মানুষটাকে তাহসান ভাইয়া বলেই ডাকবে।’

শুভর কথায় তাহসান হাসেন। কিন্তু নিজের বয়স আটকে রাখার গুমর আর ফাঁস করেন না। ততক্ষণে ক্যামেরা প্রস্তুত হয়ে যায়। তিন বিচারকের ডাক আসে। বিচারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সুন্দরীরা প্রস্তুত। প্রতিযোগিতাটি প্রচারিত হবে চ্যানেল আইতে।