দালের মেহেন্দীকে কারাদণ্ড

দালের মেহেন্দী
দালের মেহেন্দী

মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন ভারতের জনপ্রিয় গায়ক দালের মেহেন্দী। আজ শুক্রবার পাতিয়ালা আদালত মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে দালের মেহেন্দীকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই দালের মেহেন্দীকে পাঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা গেছে, তাঁকে এখন হাজতে রাখা হয়েছে। শিগগিরই কারাগারে পাঠানো হবে।

২০০৩ সালে পাঞ্জাবের জনপ্রিয় এই গায়কের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচারের আরও অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। তখন থেকেই শুরু হয় মামলা। শুধু দালের মেহেন্দী নন, মানব পাচারের অভিযোগে তাঁর ভাই শমসের সিংয়ের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

পাঞ্জাবের পপ তারকা দালের মেহেন্দী ‘ভাংড়া’ সুরকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন সার্থকভাবে। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘বোলো তারা রা রা’। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এর পর ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও প্রচুর শো করেন দালের মেহেন্দী। তাঁর সঙ্গে থাকতেন একদল যন্ত্রশিল্পী আর তাঁর ভাই শমসের সিং।

১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শো করতে গিয়ে ১০ জন ভারতীয়কে তাঁরা অবৈধভাবে রেখে আসেন ওই দেশে। এভাবে একাধিকবার শিল্পী পরিচয়ে অরও অনেককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন দেশে রেখে আসেন। এ কাজ করে দুই ভাই ‘প্যাসেজ মানি’ হিসেবে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন।

জানা গেছে, পাঞ্জাবের বালভেরা গ্রামের বাসিন্দা বকশিশ সিং নামে এক ব্যক্তি পাতিয়ালা পুলিশের কাছে দালের মেহেন্দী এবং তাঁর ভাই শমসের সিংয়ের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির কনট প্লেসে দালের মেহেন্দীর অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। এই কার্যালয় থেকে মানাব পাচারের সব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। দালের মেহেন্দী আর তাঁর ভাইকে যাঁরা টাকা দিয়ে বিদেশ গিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে সব ফাইল উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে ২০০৬ সালে দালের মেহেন্দী আর তাঁর ভাইকে নিরপরাধ বলে হলফনামা দেয় পাতিয়ালা পুলিশ। কিন্তু আদালত তাঁদের মুক্তি দেননি, কারণ তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল আদালতের কাছে। আদালতের নির্দেশে ‘মেহেন্দি ব্রাদার্স’কে নিয়ে আরও তদন্ত করা হয়। অবশেষে তাঁদের অপরাধী ঘোষণা করেন আদালত।

কিন্তু পরে জানা গেছে, আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন দালের মেহেন্দী।