শিশুশিল্পী হিসেবে শুরু করেছিলেন যাঁরা

অনেকের মতে, শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করার পর নায়ক-নায়িকার ইমেজ তৈরি হতে সময় লাগে। কথাটা আংশিক সঠিক। সবার ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা হয় না। এমন অনেক তারকা আছেন, যাঁরা ছোটবেলায় চলচ্চিত্রে কাজ করলেও বড় হয়ে নায়ক না নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছেন। অনেকে আবার ছোটবেলাতেই বেশি ভালো ছিলেন। বড় হয়ে বরং দর্শকদের বিরক্তির কারণ হয়েছেন।

সঞ্জয় দত্ত
সঞ্জয় দত্ত

সঞ্জয় দত্ত
সঞ্জয় দত্তের মা-বাবা দুজনই তারকা ছিলেন। তাঁর বাবা প্রয়াত অভিনেতা সুনীল দত্ত আর মা প্রয়াত অভিনেত্রী নার্গিস। বড় পর্দায় সঞ্জয়ের অভিষেক হয়েছিল ছোটবেলায়। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রেশমা অউর সেরা’ ছবিতে একটি কাওয়ালি গানের দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত।

আমির খান
আমির খান

আমির খান
জনপ্রিয় তারকা আমির খানের বাবা তাহির হুসেইন খান ছিলেন বলিউডের একজন পরিচালক ও প্রযোজক। আমিরের প্রথম ছবি কিন্তু ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ নয়। এই অভিনেতা শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম কাজ করেন ১৯৭৩ সালে ‘ইয়াদো কি বরাত’ ছবিতে।

ববি দেওল
ববি দেওল

ববি দেওল
নায়ক ধর্মেন্দ্রর ছেলে হওয়ার সুবাদে কয়েকটি ছবি করার সুযোগ পেয়েছিলেন ববি দেওল। কিন্তু অভিনয়ে অপটু হওয়ায় বলিউডে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। ববি কিন্তু নায়ক হওয়ার অনেক আগেই ১৯৭৭ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন ‘ধরমবীর’ ছবিতে। সেটি ছিল তাঁরা বাবার চলচ্চিত্র।

আদিত্য নারায়ণ
আদিত্য নারায়ণ

আদিত্য নারায়ণ
সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণের ছেলে আদিত্য নারায়ণ গান আর অভিনয় দুই দিকেই আছেন। কিন্তু বলিউডের দর্শকেরা এই আদিত্যর সঙ্গে বেশ আগে থেকেই পরিচিত। ছোট্ট আদিত্য প্রথম কাজ করেছিলেন ‘যব প্যায়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’ (১৯৯৮) ছবিতে। সেখানে তিনি ছিলেন সালমান খানের ছেলে। এরপর শাহরুখ খানের ‘পরদেশ’ ছবিতে।

অজয় দেবগন
অজয় দেবগন

অজয় দেবগন
বলিউডের ‘ডার্ক হাউস’ বলা হয় অজয় দেবগনকে। বলিউডে নায়ক হিসেবে তাঁর অভিষেক ‘ফুল অউর কাঁটে’ ছবিতে। তবে শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ১৯৮৫ সালে ‘পেয়ারি বেহনা’ ছবিতে।

হৃতিক রোশন
হৃতিক রোশন

হৃতিক রোশন
বলিউডের যে কজন তারকা-সন্তান নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাঁর মধ্যে হৃতিক রোশন অন্যতম। তিনি অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশনের সন্তান। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই ছবির সেটে যাওয়া-আসা ছিল হৃতিকের। এভাবেই একদিন ছবির অংশ হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৮০ সালে ‘আশা’ ছবিতে শিশুশিল্পী ছিলেন তিনি।

আফতাব শিবদাসানি
আফতাব শিবদাসানি

আফতাব শিবদাসানি
আফতাব শিবদাসানিকে শিশু অবস্থায় দর্শক দেখেছেন অনিল কাপুরের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে। আফতাবের বয়স তখন পাঁচ অথবা ছয়। তবে এর চেয়েও ছোট বয়সে একটি ডায়াপারের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন এই নায়ক।

যুগল হংসরাজ
যুগল হংসরাজ

যুগল হংসরাজ
শেখর কাপুরের বিখ্যাত ছবি ‘মাসুম’-এ আবেগঘন চরিত্রে অভিনয় করে অনেকের মনোযোগ কেড়েছিলেন শিশুশিল্পী যুগল হংসরাজ। যদিও নায়ক হিসেবে তিনি একেবারে ফ্লপ।

কুনাল খেমু
কুনাল খেমু

কুনাল খেমু
কুনাল খেমু আমির খান ও জুহি চাওলার ‘হাম হ্যায় রহি প্যায়ার কে’তে প্রথম বড় পর্দায় অভিনয় করেন। আর আমির ও কারিশমা কাপুরের ‘রাজা হিন্দুস্তানি’তেও ছিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিশু চরিত্রে।

নিতু সিং
নিতু সিং

নিতু সিং
নিতু সিং এখন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। একসময় জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন। তবে শুরুটা হয়েছিল শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৬৬ সালে ‘সুরজ’ ছবিতে শিশুশিল্পী ছিলেন নিতু। এরপর ‘দো কালিয়া’-তেও ছোট্ট নিতুর অভিনয় অনেক সুনাম কুড়িয়েছিল।

ঋষি কাপুর
ঋষি কাপুর

ঋষি কাপুর
নিতু সিংয়ের মতো তাঁর স্বামী ঋষি কাপুরও শিশুশিল্পী ছিলেন। বাবা প্রয়াত অভিনেতা রাজ কাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিতে যখন অভিনয় করেন, ঋষির বয়স তখন খুব কম। সেখানে তিনি রাজ কাপুরের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

ঊর্মিলা মাতন্ডকার
ঊর্মিলা মাতন্ডকার

ঊর্মিলা মাতন্ডকার
ঊর্মিলা মাতন্ডকার ১৯৮০ সালে ‘জাকোল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে ‘মাসুম’ ছবিতে ‘লাকড়ি কি কাঠি’ গানের কথা নিশ্চয় মনে আছে? সেই গানের তিন শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বড়জনই ঊর্মিলা আর ছেলেটি যুগল হংসরাজ।

শ্রীদেবী
শ্রীদেবী

শ্রীদেবী
প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী নায়িকা হওয়ার আগে অসংখ্য তামিল ও হিন্দি ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। লাইট, অ্যাকশন, ক্যামেরা শব্দের সঙ্গে এই বড় পর্দার নায়িকার পরিচয় সেই ১৯৬৩ সালে।

পদ্মিনী কোলহাপুরি
পদ্মিনী কোলহাপুরি

পদ্মিনী কোলহাপুরি
‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নায়িকা জিনাত আমানের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পদ্মিনী কোলহাপুরি। পরে নায়িকা হিসেবেও কাজ করেছেন আরও কয়েকটি ছবিতে।

সূত্র: দ্য উইটি ফিড