'লাল জমিন' ছড়িয়ে যাক দেশজুড়ে

লাল জমিন নাটকে মোমেনা চৌধুরী
লাল জমিন নাটকে মোমেনা চৌধুরী

নাটকটি মঞ্চায়নের পর তাঁকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদেছেন দর্শকেরা। কেউ কুশীলবের হাত ছুঁয়ে অনুভব করতে চেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকে। এক রিকশাচালক সারা দিনের কষ্টার্জিত মাইনে কুশীলবের হাতে তুলে দিয়েছিলেন খুশিমনে-একেকটি রজনীতে নাটকটি মঞ্চায়িত হওয়ার পর এসব অনুভূতি নিয়ে ঘরে ফেরেন অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। যে নাটকটির জন্য এই অনুভূতির প্রকাশ, সেটির নাম লাল জমিন। আজ ১৪৯তম রজনী পেরিয়ে আগামীকাল ৬ এপ্রিল ১৫০তম মঞ্চায়ন উদযাপন করবে ‘লাল জমিন’। ঢাকায় নয়, এই মঞ্চায়ন হবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মহসিন অডিটরিয়ামে।

২০১১ সালে শূন্যন নামের রেপার্টরি দল মঞ্চে আনে মান্নান হীরার লেখা নাটক ‘লাল জমিন’। নির্দেশনার দায়িত্ব পান সুদীপ চক্রবর্তী। নতুন এক পথচলা শুরু হলো মোমেনা চৌধুরীর-একক অভিনেত্রী হিসেবে। তারপর দীর্ঘ পথচলায় এ নাটক কখন যে তাঁর জীবনের অংশ হয়ে যায় টেরই পাননি। ‘যেদিন থেকে চিন্তা করেছি “লাল জমিন” করব, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমার সমস্ত চিন্তাজুড়ে শুধু এই নাটকটিই। একে আমি ধারণ করি প্রতি মুহূর্তে। আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে নাটকটি।’ বললেন তিনি। এই কথাগুলো বলার সময় ভারী হয়ে আসে তাঁর কণ্ঠ। নাটকটির বিষয়ও যে আবেগের। মুক্তিযুদ্ধের সময় চৌদ্দ ছুঁই-ছুঁই এক কিশোরীকে নিয়ে নাটকের গল্প। তার মুক্তিযুদ্ধ, জীবনযুদ্ধ নিয়ে এগিয়ে চলে কাহিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরীর জীবনে ঘটে গেছে ভয়ানক সব ঘটনা। কিশোরীর ধবধবে জমিন নয় মাসে কী করে একটা ‘লাল জমিন’ হয়ে উঠল, তা নিয়েই এই নাটক।

এরই মধ্যে নাটকটি পেয়েছে সরকারি অর্থ সাহায্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ৪৪টি জেলায় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে যাবে ‘লাল জমিন’। সেই সূত্র ধরেই ১৫০ তম প্রদর্শনীটি হচ্ছে শ্রীমঙ্গলে। শিক্ষার্থীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে পৌঁছে দিতে পেরে বেশ গর্বিত তিনি।