আসছেন 'ওরা এগারো জন'

নুহাশ হ‌ুমায়ূন, তানভীর আহসান, রাহাত রহমান, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, মাহমুদুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, মীর মোকাররম হোসেন, রবিউল আলম, সালেহ আহমেদ, আহমেদ সাওকী ও তানিম নূর—এঁরা সবাই বর্তমান সময়ের নির্মাতা। নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে সবাই নিজেদের মেধার সাক্ষর রেখেছেন। এই ১১ নির্মাতাকে নিয়ে এবার নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে চ্যানেল আই। ‘স্বল্পদৈর্ঘ্যে, দীর্ঘ যাত্রা’ স্লোগান নিয়ে দেশের এই ১১ জন তরুণ নির্মাতাকে নিয়ে চ্যানেল আই শুরু করছে ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’ নামে ‘বাংলাদেশি অমনিবাস চলচ্চিত্র প্রজেক্ট’।

‘ইতি, তোমারই ঢাকা’ নামের এই আয়োজনের ঘোষণা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এখানে নতুন এই নির্মাতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করবেন আবু শাহেদ ইমন।

নতুন এই প্রকল্প নিয়ে আবু শাহেদ ইমন বলেন, ‘গত দেড় দশকে বিশ্বের চলচ্চিত্রে বৈপ্লবিক পালাবদল চলছে। ৩৫ মিমি প্রযুক্তি থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে বিশ্বের চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার পর আমরা সবাই খুশি হয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল এবার ইচ্ছামতো চলচ্চিত্র হবে। কিন্তু প্রযুক্তি কখনোই চলচ্চিত্র বানাতে পারে না। চলচ্চিত্র বানাতে পরিচালকের উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট হওয়া খুব জরুরি। তাই এই ১১ তরুণ নির্মাতাকে আমরা একত্র করেছি।’

১১ জন তরুণ নির্মাতার সঙ্গে ফরিদুর রেজা সাগর ও আবু শাহেদ ইমন
১১ জন তরুণ নির্মাতার সঙ্গে ফরিদুর রেজা সাগর ও আবু শাহেদ ইমন

এই প্রকল্পের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ইমন বলেন, ‘তিন মাসের বেশি সময় ধরে আমরা আমাদের গল্প নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, কর্মশালা করেছি। দর্শকের কথা মাথায় রেখে আমাদের নিজস্ব ভাবনা পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করেছি। এ প্রকল্পে রাজধানী ঢাকা নিয়ে আমাদের ভাবনা, ভালোবাসা কিংবা উদ্বেগ ১১ তরুণ নির্মাতার চোখ দিয়ে দেখব। গল্প বলার ঢঙে দর্শক পাবে এক টিকিটে বড় পর্দায় হরেক রঙের আবেগ। আমার বিশ্বাস, “ইতি, তোমারই ঢাকা” বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হিসেবে দর্শকের কাছে উপস্থিত হবে।’

মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্মাতা ও সংগঠক নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চ্যানেল আইয়ের বিপণন বিভাগের প্রধান ইবনে হাসান খান, নির্মাতা গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, তৌকীর আহমেদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম। আরও ছিলেন নয়জন নতুন নির্মাতা। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে থাকতে পারেননি কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও নুহাশ হ‌ুমায়ূন।

ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘এই ছবিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে; যা বাংলাদেশের ছবিকে দেশের বাইরে ভালো ছবি হিসেবে পরিচিত করাবে। নতুনদের দিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রে সমৃদ্ধি আসবে, এই প্রত্যাশা থাকল।’

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। তারুণ্যের জয় হোক। আশা করছি, সফল একটি প্রকল্প আমরা দেখতে পাব।’

তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতারা অন্য জগতের মানুষ। দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব দরকার। এই দায়িত্ব নিতে হবে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের। কিন্তু আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতার সংখ্যা কম, নতুনেরা আরও বেশি ছবি নির্মাণে আসুক।’