যে সিরিজের গল্প বলা যায় না

প্রিজন ব্রেক ওয়েব সিরিজের দৃশ্য
প্রিজন ব্রেক ওয়েব সিরিজের দৃশ্য

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক তরুণ একবার বলছিলেন, ‘প্রিজন ব্রেক টিভি সিরিজটিকে আমরা বলি সেমিস্টার ব্রেক।’ 

ভ্রু কুঁচকে জানতে চাই, ‘কেন?’
তরুণটি বুঝিয়ে বলেন, ‘কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চাপের মধ্যে সেমিস্টার ব্রেক না পেলে এই টিভি সিরিজ দেখা সম্ভব নয়। একবার দেখা শুরু করলে সব পর্ব দেখতে হবেই!’
ফক্স চ্যানেলের এই টিভি সিরিজটি যাঁরা দেখেছেন, অনেকেই হয়তো এই তরুণের সঙ্গে একমত হবেন। আর যাঁরা দেখেননি, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। এরই মধ্যে পাঁচটি সিজনে ‘প্রিজন ব্রেক’-এর ৯০টি পর্ব প্রচারিত হয়ে গেছে। একেকটি পর্বের দৈর্ঘ্য ৪২ মিনিট। সে হিসাবে পুরো ‘প্রিজন ব্রেক’ দেখে শেষ করতে হলে আপনার জীবন থেকে ‘৬৩ ঘণ্টা’ সময় বরাদ্দ রাখতে হবে এই টিভি সিরিজটির জন্য!

লিংকন বুরোজ ও মাইকেল স্কোফিল্ড-দুই ভাইকে ঘিরে গড়ে উঠেছে টিভি সিরিজটির গল্প। শুরুটা এমন-খুনের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির রায় হয় লিংকনের বিরুদ্ধে। ভাইকে জেল থেকে মুক্ত করতে একটা দুর্দান্ত পরিকল্পনা আঁটে প্রকৌশলী মাইকেল স্কোফিল্ড। ব্যাংক ডাকাতির ‘নাটক’ করে সে-ও পুলিশের কাছে ধরা দেয়। শুরু হয় দুই ভাইয়ের জেল পালানোর অভিযান। তাদের সঙ্গে একে একে যোগ দেয় আরও অনেকে। সেই সঙ্গে গল্পে যোগ হতে থাকে নতুন নতুন বাঁক।

১৩ পর্ব নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম সিজনটা সাজিয়েছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু সিরিজটির তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে প্রথম সিজন শেষ হয় ২২ পর্বে। এরপর একে একে মুক্তি পেয়েছে মোট পাঁচটি সিজন। এখন ৬ নম্বর সিজন তৈরির কাজ চলছে। সিরিজটির লেখক পল টি শিউরিং জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তিনি প্রথম পর্বের চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছেন। দর্শক কবে থেকে মাইকেল স্কোফিল্ডকে আবার পর্দায় দেখতে পাবে, সেটা অবশ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

আগেই বলেছি, ‘প্রিজন ব্রেক’-এর ভক্তরা বলেন, এই টিভি সিরিজ একটা ‘ফাঁদের’ মতো। একবার দেখা শুরু করেছেন তো মরেছেন! সব পর্ব আপনাকে দেখতেই হবে। আর যদি ভাবেন, ‘কী দরকার, গল্পটা না-হয় কারও কাছ থেকে শুনে নেব।’ ভুল হবে। কারণ গুণীজনেরা বলেন, ‘ভালো ছবি সেটাই, যার গল্পটা বলা যায় না!’