স্মৃতির ভেলায় ভাসাল নাগরিক

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে নাট্যকোলাজে রক্তকরবী নাটকের অংশবিশেষ মঞ্চস্থ হয়। মঞ্চে আতাউর রহমান ও অপি করিম। গতকাল সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে।  ছবি: প্রথম আলো
নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে নাট্যকোলাজে রক্তকরবী নাটকের অংশবিশেষ মঞ্চস্থ হয়। মঞ্চে আতাউর রহমান ও অপি করিম। গতকাল সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে। ছবি: প্রথম আলো

স্মৃতিতে নাড়া দেওয়া সন্ধ্যা। মিলনমেলা বলতে যা বোঝায় তাই। বেইলি রোডের মহিলা সমিতির করিডরে নানা প্রজন্মের নাট্যজনের মুখ। কত দিন পর পরস্পরের দেখা, আড্ডাটা জমে উঠতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ‘আয় আয় আয় আমাদের অঙ্গনে...’-রবীন্দ্রনাথের গানের সুরে সুরে সবাই হাজির মঞ্চের সামনে। গানের সঙ্গে সমবেত নাচ।

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর আর দর্শনীর বিনিময়ে নাটক প্রদর্শনের ৪৫ বছর পূর্তিতে নাটকের দল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হলো তিন দিনের এই বর্ণাঢ্য উৎসব। মহিলা সমিতির করিডরে ছিল দারুণ এক প্রদর্শনী। যেখানে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন সময় নাগরিকের নাটকের টিকিটগুলোর বিশেষ প্রদর্শনী। আলী যাকের আবেদন করেছিলেন ১৯৭৪ সালে মহিলা সমিতির কাছে, সেই আবেদনপত্রের অনুকৃতি প্রদর্শনী দেখা গেল। ছিল দেওয়ান গাজীর কিসসা নাটকের তিন সখীর দৃশ্য, রক্তকরবীর সেট। পুরোনো নাটক থেকে কিছু দৃশ্য মাল্টিমিডিয়ায় দেখানো হয়।

নাগরিকের সভাপতি আলী যাকের স্বাগত জানালেন সমবেতদের। প্রদীপ প্রজ্বালন করলেন মমতাজউদ্দীন আহমদ, মুস্তাফা মনোয়ার, রামেন্দু মজুমদার, সৈয়দ হাসান ইমাম, ইনামুল হক, ফেরদৌসী মজুমদার, হাশেম খান, লায়লা হাসান, কেরামত মওলা, সেলিনা হোসেন, আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিমূল ইউসুফ, মিনু হক, উষা গাঙ্গুলী প্রমুখ। নাগরিকের সদস্যরা উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন তাঁদের গলায়।

দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে কথা বলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আতাউর রহমান, আবুল হায়াত। আলী যাকের আনন্দময় এ আয়োজনে সৃজনশীলতায় নাগরিক প্রণোদনা এবং সৈয়দ শামসুল হক ও খালেদ খান স্মৃতি সম্মাননা প্রবর্তনের ঘোষণা দেন। বক্তৃতা, স্মৃতিচারণার পাশাপাশি চলে গান, নৃত্য। উৎসবের আহ্বায়ক সারা যাকের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ছিল নাট্যকোলাজ। এতে বাকি ইতিহাস, নূরলদীনের সারাজীবন, দেওয়ান গাজীর কিসসা, রক্তকরবীর মতো বিখ্যাত নাটকগুলোর অংশবিশেষ পরিবেশিত হয়।