সূর্য সেন ও প্রীতিলতার শহরে 'স্বপ্নজাল'

‘স্বপ্নজাল’ ছবির দৃশ্যে পরীমনি ও ইয়াশ রোহান। ছবি: সংগৃহীত
‘স্বপ্নজাল’ ছবির দৃশ্যে পরীমনি ও ইয়াশ রোহান। ছবি: সংগৃহীত

‘মাস্টারদা সূর্য সেন ও অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার শহর চট্টগ্রামের দর্শকেরা আমার নতুন ছবিটি দেখতে পারবেন ভেবেই আপ্লুত আমি।’ আজ রোববার বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে নিজের অনুভূতি এভাবে ব্যক্ত করলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

‘স্বপ্নজাল’ মুক্তির সময়ই নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম মনে মনে ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন তাঁর নতুন ছবিটি চট্টগ্রামের দর্শকেরাও দেখুক। ইচ্ছে থাকলেও তখন নানা জটিলতায় ছবিটি সেখানে মুক্তি দিতে পারেননি এ নির্মাতা। মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহে এসে সেই ইচ্ছে পূরণ হতে যাচ্ছে। ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘স্বপ্নজাল’। দর্শক আগ্রহ থাকলেও জটিলতার জালে আটকে চট্টগ্রাম আর বরিশালের দর্শকেরা স্বপ্নজাল ছবিটি দেখার সুযোগ পাননি।

২০ এপ্রিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আলমাস প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে স্বপ্নজাল। সেদিনই পরীমনি ও ইয়াশ রোহান অভিনীত এই ছবিটি কলকাতায় মুক্তির ব্যাপারে একটি সংবাদ রয়েছে; সেখানে অংশ নেবেন নির্মাতা। তাই চট্টগ্রামে সেদিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মুক্তির ক্ষণে উপস্থিত থাকতে পারছেন না গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তবে দলবল নিয়ে সপ্তাহের যেকোনো দিন চট্টগ্রামে যাবেন এই নির্মাতা। সব অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কথা বলছেন, যাঁদের শিডিউল মিলবে, তাঁদের নিয়ে ছুটবেন চট্টগ্রামে—ছবি নিয়ে কথা বলবেন সেখানকার দর্শকদের সঙ্গে।

‘স্বপ্নজাল’ ছবির দৃশ্যে পরীমনি ও ইয়াশ রোহান। ছবি: সংগৃহীত
‘স্বপ্নজাল’ ছবির দৃশ্যে পরীমনি ও ইয়াশ রোহান। ছবি: সংগৃহীত

গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ‘আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফেনীতে। প্রথম দেখা শহর চট্টগ্রাম। এই শহরকে ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি। বহু বছর ধরে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি জনপদ চট্টগ্রাম। মাস্টারদা সূর্য সেন ও প্রীতিলতার জায়গা এটি। বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের সূতিকাগারও এই চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলের থিয়েটারও খুব উন্নত। শিল্প-সাহিত্যের উত্থান যে শহরে, সেখানে আমার নতুন ছবি যাচ্ছে, এটা তো নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আনন্দের। আমি খুবই আপ্লুত।’

বেঙ্গল ক্রিয়েশনস প্রযোজিত ও অলটাইম নিবেদিত ‘স্বপ্নজাল’ ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন ফজলুর রহমান বাবু, মিশা সওদাগর, শহীদুল আলম সাচ্চু, ফারহানা মিঠু, নরেশ ভূঁইয়া, শিল্পী সরকার অপু, শাহেদ আলী, ইরেশ যাকের প্রমুখ।