শাকিবের অপেক্ষায় বুবলী

শাকিব খান ও শবনম ইয়াসমীন বুবলী
শাকিব খান ও শবনম ইয়াসমীন বুবলী
>সংবাদ উপস্থাপক থেকে হুট করে নায়িকা বনে যাওয়া শবনম বুবলী শুরু থেকে শাকিব খানের জুটি হয়ে অভিনয় করছেন। তিন বছরের অভিনয়জীবনে এই নায়কের বাইরে আর কারও সঙ্গে অভিনয়ে দেখা যায়নি তাঁকে। দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই নায়কের বাইরে এককভাবে বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা গেছে বুবলীকে। এদিকে শাকিব খান ৩১ মার্চ থেকে স্কটল্যান্ডে ‘ভাইজান এলো রে’ ছবির শুটিং করছেন, চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এই ছবিতে শাকিবের নায়িকা ভারতের কলকাতার শ্রাবন্তী। শাকিব খানের পর্দা জুটি বুবলী এখন কী করছেন? জানালেন সেসব।


বুবলী, কেমন আছেন? 

ভালো। বাসায় আছি।

আপনার নায়ক তো দেশের বাইরে। তাঁর সঙ্গে যে ছবিগুলোতে কাজ করছিলেন, সেগুলোর কী খবর?
‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ ছবির শুটিং তো হিরো (শাকিব খান) দেশের বাইরে যাওয়ার আগেই শেষ। শুনেছি, এই ছবির ডাবিংয়ের কাজও শেষ। হিরো দেশে ফিরলে ‘সুপার হিরো’ ছবির কাজ শুরু হবে। এখন যেহেতু হিরো দেশে নেই, তাই অপেক্ষায় আছি। তবে আমার একক কিছু কাজ আছে, সেগুলো করছি।

তার মানে হিরোর অপেক্ষায় হিরোইন।
কাজ কম করলে যা হয় আর কী! আমার নীতি হচ্ছে, কম করব, কিন্তু তা হতে হবে মানসম্পন্ন। স্ক্রিনে অল্প থাকব, কিন্তু যতটা সময় থাকব, ওটা যেন দর্শক একটু হলেও পছন্দ করেন। ভালোবেসে কাজ করি। ভবিষ্যতেও যে কয়টা কাজই করব, চেষ্টা থাকবে তা যেন মানসম্পন্ন হয়।

হিরো যেহেতু দেশে নেই, তাহলে তো কিছুটা অবসর পাচ্ছেন। কী করছেন?
সামনে ঈদ, এ উপলক্ষে কিছু ফটোশুট হচ্ছে। ভালো ভালো সাময়িকীর প্রচ্ছদের জন্য কাজ করছি। কিছুদিন আগে আমার যে বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রচার শুরু হয়েছে, তার জন্য প্রচুর প্রশংসা পাচ্ছি। নতুন আরও কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। বিজ্ঞাপনচিত্রের ভাবনা আর পণ্য ভালো লাগলে হয়তো এই মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করব।

তার মানে নিয়মিত হবেন?
আমি ২০১৬ সালে ছবির কাজ শুরু করেছি। দুই বছর পর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। আমি কিন্তু এর আগেই প্রস্তাব পেয়েছি। চেয়েছি সুন্দর কাজ করতে। ভালো হলে করব। তবে বেশি কাজ করার প্রয়োজন নেই।

আপনার হিরো কবে ফিরবেন?
এটা তো জানি না। শুনলাম ২০ অথবা ২১ এপ্রিল ফিরতে পারেন।

‘সুপার হিরো’ ছাড়া আর কী ছবির কাজ করছেন?
‘ক্যাপ্টেন খান’ নামে নতুন একটি ছবির কাজ শুরু হয়েছে। ওয়াজেদ আলী সুমনের এই ছবির কাজ চার দিন করেছি।

শাকিব খান প্রযোজিত ‘প্রিয়তমা’ ছবির কী হবে?
ছবিটি নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। শুনেছি, কাজটা একটানা হবে। এই ছবির শুটিংয়ে আবহাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব শিল্পীর শিডিউল সেভাবেই ম্যানেজ করা হয়েছে। আমিও অপেক্ষা করছি।

কাজের বাইরে যে সময় পান, কী করেন?
বাসায় থাকতে খুব ভালো লাগে। নিজের মতো করে থাকি। এমনও হয়, নিজের রুম থেকে ড্রয়িং রুমে পর্যন্ত যাওয়া হয় না। দেখা যায়, আম্মু এসে খাবার দিয়ে যায়। ঘরে বসে বই পড়ি, টেলিভিশন দেখি, প্রচুর সিনেমা দেখি। আগের ছবি বেশি দেখা হয়। সর্বশেষ দেখেছি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি। এটা আমার অসম্ভব ভালো লাগার একটি ছবি হয়ে গেছে। ছবিটি আমার মন ভরে দিয়েছে।

শবনম ইয়াসমীন বুবলী
শবনম ইয়াসমীন বুবলী

নিজের পছন্দ, নাকি অন্য কেউ ছবিটি দেখতে বলেছেন?
‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ ছবির শুটিংয়ের সময় খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ওই ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে বাচ্চু আংকেলের (সাদেক বাচ্চু) সঙ্গে অনেক কথা হয়। আমার খুব প্রশংসা করছিলেন। তখন তাঁর কাছ থেকে অভিনয় ভালো করার উপদেশ চেয়েছিলাম। তিনি ভালো ছবি দেখার পরামর্শ দেন। কয়েকটি ছবির মধ্যে ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবির নাম বলেছিলেন। তাঁদের মতো চলচ্চিত্রাভিনেতার সঙ্গে কাজ করে নিজে সমৃদ্ধ হই। মনে হয়েছে, অনেক কিছু শেখার আছে। শুটিংয়ের ফাঁকে সামান্য সময় পেলে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।

এখন যাঁরা নায়িকা, তাঁদের মধ্যে আপনার ফিটনেসের প্রশংসা অনেকেই করেন। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য কী করছেন?
নিয়মিত জিমে যেতে পারি কিংবা না পারি, বাসায় সব সময় ইয়োগা করি। ৪০টি আসন জানি। কাজের জন্য জিমে না যাওয়া হলে বাসায় ইয়োগা করতে কখনো ভুল হয় না। ফিটনেসের আরেকটি অংশ হচ্ছে নাচ করা। এটা তো সব সময় করি।

কী খাবার খাচ্ছেন?
ভাত আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই ভাত খাওয়া নিয়ে আমার ইউনিটের অনেকে মজা করে। দেশের বাইরে যেকোনো জায়গায় শুটিংয়ে গেলে সেখানে আঞ্চলিক খাবারের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ওটা ট্রাই করি ঠিকই, কিন্তু ভাত আমার লাগবেই। আমার কোআর্টিস্ট, ইউনিটের অন্যরাও কিন্তু বলে রাখে, ‘বুবলীর জন্য কিন্তু ভাত রাখতে হবে। ও যেখানেই যাক, ভাত-কাঁচা মরিচ রাখতেই হবে।’ যতই ডায়েট করি, ভাত খাবই খাব।

রান্না করতে পারেন?
আমি খুব ভালো রান্না করি। বাসায় আমি সবার ছোট, তাই সব সময় রান্না করতে দেয় না। তবে মাঝেমধ্যে রান্না করি। গরুর মাংস, মাছের নানা পদ, শুঁটকি, গরুর কালো ভুনা ভালোই রান্না করি। আমার রান্না করা গরুর মাংস খেয়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন।