মঞ্চে নাট্যাচার্যের 'কালিন্দী'

দ্যাশবাঙলা থিয়েটারের নতুন নাটক কালিন্দী–এর একটি দৃশ্য। নাটকটি মঞ্চস্থ হয় গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে।  ছবি : প্রথম আলো
দ্যাশবাঙলা থিয়েটারের নতুন নাটক কালিন্দী–এর একটি দৃশ্য। নাটকটি মঞ্চস্থ হয় গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে। ছবি : প্রথম আলো

ঢাকার মঞ্চে আরেকটি নতুন নাটক নিয়ে এল দ্যাশবাঙলা থিয়েটার। গতকাল মঙ্গলবার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হলো তাদের দ্বাদশ প্রযোজনা ‘কালিন্দী’ নাটকের।

নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের যৈবতী কন্যার মন নাটকের ‘কালিন্দী’ অংশকে পূর্ণাঙ্গ নাট্যরূপে দর্শকের সামনে তুলে ধরা হলো। সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চায়ন হলো শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে। রশিদুল ইসলামের নির্দেশনায় নাটকটির উদ্বোধন করেন শিমূল ইউসুফ। নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক বলেন, অষ্টাদশ শতকের গীতিকা পালার সঙ্গে ধর্মকাব্যের দ্বান্দ্বিক ছবি কালিন্দী আখ্যান। একালে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে উগ্র ধর্মবাদীদের প্রকট দ্বন্দ্ব কালিন্দীর প্রাসঙ্গিকতা বাড়িয়ে দেয়। তাই কালিন্দী মঞ্চে তোলা।

পদাবলির ধারায় নির্মিত কালিন্দীতে অভিনয় করছেন গোধূলি মাহজেবিন, মাধবীলতা, সোহাগ ধর, মানিক সরকার, সোহানুর রহমান, আননুর রাশাদ, রাহাতুল হাবীব, শাহরিয়া খান ও উৎসব বৈরাগী।

নাটকে দেখা যায়, ধর্মতান্ত্রিক পরিবারের কন্যা কালিন্দী। বাবা ভাসান গায়ক। কালিন্দীর জন্ম জীবনের চারপাশঘেরা মনসার সাপের ফণায়। ধর্মের খোলস ভেঙে প্রাণ ও প্রণয়ের টানে সে বেরিয়ে এসেছিল। শিল্পযাত্রায় সহযাত্রী হয়েছিল মানুষের সুখ-দুঃখের ভজন গায়ক আলাল গায়েন। তার শিল্প-সৃজনে অনুপ্রেরণা ছিল কালিন্দীর দুটি চরণ। সুরে পয়ারে ভজনা করেছিল কালিন্দীর; যাচনা করেছিল প্রেম। কিন্তু আলাল গায়েন মাঝপথে উল্টো যাত্রা করে। পীরের মুরিদ হয়। তার সুর ও পয়ারে মুখরিত আসরের আলো ক্রমে নিভে যায়। ভেঙে যায় শিল্প-সংসার। ক্ষতবিক্ষত হয় কালিন্দীর জীবন। আলাল গায়েনের নিরন্তর বদলে যাওয়া ভুবনের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে না পেরে আত্মবিসর্জন দেয় কালিন্দী।