১২টা ধানি মরিচ খেতে হয়েছিল

>‘আনন্দ’ পাঠকদের জন্যই আপনার প্রশ্ন, তারকার উত্তর বিভাগ। এই বিভাগে ভক্ত ও অনুসারীদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন তারকারা। আজ এই বিভাগে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা
তিশা
তিশা

প্রশ্ন: মোস্তফা সরয়ার ফারকীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে, নাকি প্রেম ছাড়া বিয়ে? যদি প্রেম করে বিয়ে করে থাকেন তাহলে প্রথম ভালো লাগা কীভাবে শুরু হয়? 
মাহফুজুর রহমান খান
চিনিতোলা, মেলান্দহ, জামালপুর

উত্তর: এটা তো পৃথিবীর সবাই জানে, আমাদের প্রেম করে বিয়ে। তাও সুপার প্রেম করে। আর ভালো লাগার শুরুটা হয়েছিল একটু অন্য রকমভাবে। ওর ব্রেকআপ হয়েছিল। আমি গিয়েছিলাম সান্ত্বনা দিতে। তারপর আমাদের প্রেম হয়ে গেল।

প্রশ্ন: টেলিভিশন চলচ্চিত্রে আপনার একটা কান ধরে ওঠাবসার দৃশ্য আছে। একদম ছোট মেয়ের মতো কান ধরে ওঠাবসা এবং কান্নার ভঙ্গিমায় আমি মুগ্ধ হয়ে এক শ বারের বেশি দেখেছিলাম দৃশ্যটি। আমার প্রশ্ন হলো, যখন কান ধরে ওঠাবসা করছিলেন এবং কান্না করছিলেন, তখন তার অনুভূতি কেমন ছিল?
আবু তাহের মিয়া
সদরা কুতুবপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর।

উত্তর: তাহের ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এক শ বার দেখার ব্যাপারটি ‘নট এ মেটার অব জোক।’ ওই দৃশ্যটি আমাকে অনেকবার করতে হয়েছিল। অনেকবার কান ধরে ওঠাবসা করেছি। অনেকবার কেঁদেছি। দৃশ্যটি করতে গিয়ে ভালো লাগছিল বললে ভুল হবে। কষ্ট হচ্ছিল। আর অনেকবার করতে গিয়ে শেষ দিকে বিরক্ত লাগছিল। আর ঠিকঠাক করতে গিয়ে আমাকে ১২টা ধানি মরিচ খেতে হয়েছিল। অনেকবার করার পরে শেষ দিকে আর কান্না আসছিল না। কান্না নিয়ে আসার জন্য মরিচ খেয়েছিলাম। কিন্তু সত্যিটা হলো, আমি মোটেও ঝাল খেতে পারি না। কী যে কষ্ট হচ্ছিল। এখন মনে হচ্ছে আমার সেই কষ্টটা সার্থক। কারণ ওই একটা দৃশ্য এক শ বারের বেশিও দর্শক দেখেছেন।

প্রশ্ন: স্বামী হিসেবে ফারুকী কেমন? আপনাদের ঝগড়া হয় না কখনো? নিজের যেকোনো হতাশায় সবচেয়ে বেশি কাছে পেয়েছেন কাকে? আলাদিনের জাদুর প্রদীপ পেলে কী কী ইচ্ছা পূরণ করতেন?

ফারিয়া হোসাইন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

উত্তর: অনেকগুলো প্রশ্ন। একটা একটা করে উত্তর দিই। স্বামী হিসেবে ফারুকী অসাধারণ। আর ঝগড়া হয়। কিন্তু সেটা ১০-২০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। আমি মনে করি ঝগড়া একটা সম্পর্কের অলংকার। ঝগড়া যদি না হয় ভালোবাসা বোঝা যায় না। তাই বলে কোনো ঝগড়াই বেশিদূর টানা উচিত না। আরেকটা প্রশ্ন ছিল নিজের যে হতাশায় সবচেয়ে বেশি কাকে কাছে পাই। এটার উত্তর হলো, আমার পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা আমার যেকোনো সমস্যায় সবার আগে এগিয়ে আসেন। সবচেয়ে বেশি পেয়েছি আমার মা ও সরয়ারকে। আর একটা তথ্য জানিয়ে রাখি, আমি খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হই না। আমি আমার জীবন নিয়ে দারুণ সুখী। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পেলে দৈত্যটাকে ফ্রি করে দিতাম। অনেক দিন ধরে বন্দী থেকে মানুষের ইচ্ছা পূরণ করে চলেছেন বেচারা। হা হা হা।