এখন অনেক কিছু বদলে গেছে: নুহাশ

নুহাশ হুমায়ূন
নুহাশ হুমায়ূন

দেশের ১১ তরুণ নির্মাতাকে নিয়ে চ্যানেল আই শুরু করছে ইতি, তোমারই ঢাকা নামে ‘বাংলাদেশি অমনিবাস চলচ্চিত্র প্রজেক্ট’। এই ১১ জনের একজন নুহাশ হুমায়ূন। এরই মধ্যে তাঁর চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করেছেন। নিজের চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বললেন তিনি।

নতুন ছবির শুটিং কেমন হলো?
শুটিং খুব ভালো হয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত শুটিং করেছি। অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, ইরফান সাজ্জাদ, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, নাজিবা বাশার। এখন সম্পাদনাসহ বাকি কাজ শুরু করব।

কোথায় শুটিং করলেন?
আমার গল্পটা বিএফডিসি (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা) নিয়ে। সেখানকার গল্পই বলেছি। বিএফডিসিতে আমার এই প্রথম শুটিং করার অভিজ্ঞতা হলো।

শুটিং করে কেমন লাগল?
ছোটবেলায় বাবার (কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ) সঙ্গে প্রায়ই বিএফডিসিতে আসা হতো। বাবার শুটিং দেখতাম। এবার অনেক দিন পর সেখানে গেলাম নিজের ছবির শুটিং করতে। এখন অনেক কিছু বদলে গেছে। তবে অভিজ্ঞতাটা ভালো।

এর আগে ‘অস্থির সময়ে স্বস্তির গল্প’ দলের সঙ্গে নাটক নির্মাণ করেছিলেন। এবার আরেকটা দলের সঙ্গে চলচ্চিত্র বানাচ্ছেন। আপনার একক তত্ত্বাবধানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কবে দেখা যাবে?
খুব তাড়াতাড়ি। আগামী বছরই হতে পারে। তবে একটা দলের মধ্যে থেকে সবাই মিলে কাজ করার ব্যাপারটা দারুণ। একসঙ্গে পরিকল্পনা করা যায়। অনেক আইডিয়া শেয়ার করা যায়।

আপনার বাবার কোনো গল্প বা উপন্যাস থেকে কিছু নির্মাণ করবেন?
এখনই না। আপাতত নিজের গল্প থেকেই নির্মাণ করতে চাই।

শেষ কোন সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছেন?
‘গহীন বালুচর’। মুক্তির পরপরই হলে গিয়ে দেখেছিলাম।

আপনার বাবার লেখা কোন চরিত্রের সঙ্গে নিজের মিল পান-হিমু, মিসির আলি নাকি শুভ্র?
আমি কোনোটার সঙ্গেই পাই না। কিন্তু অনেকে আমার মধ্যে এই তিনটারই মিল খোঁজার চেষ্টা করেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নাকি অমিতাভ রেজা চৌধুরী-পছন্দের নির্মাতা কে?
অমিতাভ রেজা চৌধুরী।

‘ডুব’ ছবি নিয়ে এক লাইন...
এটা নিয়ে কিছু বলার নেই।