বাংলাদেশজুড়ে প্রতিবন্ধীদের 'রোমিও-জুলিয়েট'

২০১৬ সালে মঞ্চায়িত হয়েছিল আ ডিফরেন্ট রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট
২০১৬ সালে মঞ্চায়িত হয়েছিল আ ডিফরেন্ট রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট

এক ভিন্ন রকম ‘রোমিও ও জুলিয়েট’ মঞ্চায়িত হয়েছিল ২০১৬ সালে। নাম আ ডিফরেন্ট রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট। প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অভিনয়ে শেক্সপিয়ারের এই কমেডি পেয়েছিল ভিন্ন মাত্রা। এবার এই প্রযোজনা সারা বাংলাদেশে দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব আর্টস নাহিন ইদরিস বলেন, মঞ্চ প্রযোজনা হিসেবে নয়, পুরো প্রযোজনা ভিডিও করে প্রদর্শনী করা হচ্ছে। গত ২৮ মার্চ থেকে এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে দেখানো হয়েছে। ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা গণগ্রন্থাগার এবং ৫ মে সিলেট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে এটি দেখানো হবে।

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ৪০০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা থিয়েটার ও লন্ডনের প্রতিবন্ধী থিয়েটার ‘গ্রেআই’ যৌথভাবে রোমিও ও জুলিয়েট মঞ্চায়ন করেছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ২৮ ও ২৯ মার্চ। এটির আয়োজক ছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন গ্রেআই থিয়েটারের শিল্পনির্দেশক জেনি সিইলি, প্রযোজক নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

এই আয়োজন নিয়ে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘থিয়েটার প্রযোজনা নিয়ে কোথাও যাওয়া কঠিন ও ব্যয়বহুল। তাই ভিডিও করে সারা দেশের দর্শকের কাছে এটি পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়। আসলে সারা বাংলাদেশে যারা প্রতিবন্ধী, তাদের সামনে এই নাটক দেখালে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করে। তাই এই আয়োজন।’

প্রাথমিকভাবে সাতটি জায়গায় এই প্রদর্শনী করা হবে। এরপর বাংলাদেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় এই প্রদর্শনী করার কথা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রদর্শনীর সঙ্গে দুজন প্রতিবন্ধী অভিনয়শিল্পী থাকেন। প্রদর্শনী শেষে তাঁরা দর্শকের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

তিন বছর কর্মশালা করার পর নাটকটি মঞ্চে আসে।