বামবা ৩০‍+

চট্টগ্রামের একটি আয়োজনে বামবার সদস্যরা। ছবি: বামবার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
চট্টগ্রামের একটি আয়োজনে বামবার সদস্যরা। ছবি: বামবার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
>আশির দশকে আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি ব্যান্ডসংগীত জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল। বাড়ছিল ব্যান্ডের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে তৎকালীন কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিল্পী দেশের সক্রিয় ব্যান্ডগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশ অ্যামেচার মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন, সংক্ষেপে বামবা নামে একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করেন। পরে অবশ্য অ্যামেচার শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালে বন্যার্তদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে কনসার্টের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় বামবার। তিন দশকে বামবা কী করেছে, কতটা সফল, ব্যর্থ—এসব নিয়েই লিখেছেন মাসুম আলী

বললে বাড়াবাড়ি হবে না, বর্তমানে ব্যান্ডসংগীত এতটা জনপ্রিয়তায় উঠে আসার পেছনে বামবার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এর যুক্তিও আছে। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ব্যান্ডসংগীতের উত্থান। তারুণ্যনির্ভর সংগীতচর্চায় আনে সম্ভাবনা, তারুণ্যের বিনোদনে যোগ হয় নতুন মাত্রা। তবে এই উত্থান কিছুদিন পরই থিতিয়ে আসে বিভিন্ন সামাজিক ও অন্যান্য কারণে। ছিল না পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতার অভাব। এমন অবস্থায় ১৯৮৭ সালে প্রবাসী রেবেকা হোসেন ও মাইলস ব্যান্ডের হামিন আহমেদ মিলে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে একটি সফল কনসার্ট করেন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ , মাইলসসহ ১০টি ব্যান্ডের অংশগ্রহণে কনসার্টটি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ওই কনসার্টের সফলতাই বামবার বীজ বপন করে।

ওই সময়ের স্মৃতি হাতড়ে বামবার প্রথম সভাপতি মাকসুদুল হক জানান, ১৯৮৮ সালে ফয়সাল সিদ্দিকী বগীর আহ্বানে নতুন কমিটি হয়, যেখানে তিনি (মাকসুদ) সভাপতি। তৎকালীন সোলসের আইয়ুব বাচ্চু ও ফিলিংসের ফান্টিকে চট্টগ্রামে এবং অবসকিউরের টিপুকে উত্তর বাংলায় বামবার কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথম যাত্রায় ১৪টি ব্যান্ড দল সদস্য ছিল। ব্যান্ডসংগীতকে দেশব্যাপী সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া, নীতিমালা প্রণয়ন, সামগ্রিক অর্থে এর যাবতীয় সমস্যার সমাধান ও সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে বামবা কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে বামবার সদস্যসংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে এর সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ২৮।

১৯৮৮ সালে মাকসুদুল হক তৎকালীন সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালেই প্রথমবারের মতো বামবার গঠনতন্ত্র তৈরি হয় এবং এরই ফলে প্রথমবারের মতো বামবার নির্বাচন হয়। বামবার প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আসেন মাইলসের হামিন আহমেদ।

সফল কিছু আয়োজন

বামবা গঠনের, অর্থাৎ ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সময়ের কার্যক্রমই বামবাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং এ সময়টাই বলা চলে সোনালি সময়। প্রথম পদক্ষেপ ছিল ১৯৮৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে ‘ফ্লাড এইড, ’৮৭’ শিরোনামের কনসার্ট আয়োজন। অনুষ্ঠান থেকে অর্জিত অর্থ বামবার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির ত্রাণ তহবিলে দান করা হয়। ১৯৮৭ সালের ফ্লাড এইড কনসার্ট দিয়ে যে বামবার শুরু, পরবর্তী সময়ে তা একটি জনহিতকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

পরের বছর ১৯৮৮ সালে প্রথম পাবলিক কনসার্ট করে বামবা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ওই কনসার্ট ছিল দুর্ঘটনায় একজন আহত ব্যক্তির চিকিৎসা সহায়তায়। পরের বছর একই স্থানে বন্যার্তদের জন্য কনসার্ট করে রাষ্ট্রপতির ত্রাণ তহবিলে ৩ লাখের বেশি টাকা হস্তান্তর করা হয়। ১৯৯০ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন একজন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা-সহায়তায় কনসার্ট করে বামবা।

স্বৈরশাসক এরশাদ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ১৯৯০ সালের ১৩ ডিসেম্বরের বৈঠকে বামবার ওই সময়ে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক চাইম ব্যান্ডের খালিদ বিজয় দিবস উপলক্ষে সবগুলো ব্যান্ড নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ওপেন এয়ার কনসার্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। হাতে ছিল মাত্র তিন দিন সময়। প্রথমে অসম্ভব মনে হলেও বামবা ১৬ ডিসেম্বর শেষমেশ অভূতপূর্ব সফলতার সঙ্গে কনসার্টটি আয়োজন করে। ৫০ হাজার দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ওই সময়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়।

 ১৯৯২ সালে সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে টিকিটের বিনিময়ে একটি সফল কনসার্ট করে সাড়া ফেলে দেয় বামবা। সেবার মাত্র তিন দিনে ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। বামবা প্রমাণ করে, টিকিট বিক্রি করেও মাঠভর্তি দর্শক-শ্রোতার সমাগম করা যায়।

ঠিক ওই সময়ে বামবার নিজস্ব উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বেশ কয়েকটি বড় রকমের কনসার্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ১৯৯১ সালের ২৬ মার্চ ও ১৪ এপ্রিলের পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট, ঘূর্ণিদুর্গতদের সাহায্যার্থে আয়োজিত বামবা কনসার্ট। এর ফলে সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে সংগঠনটির অবদান বিভিন্ন মহলে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি শুরু থেকেই ব্যান্ড মিউজিককে ‘অপসংস্কৃতি’ হিসেবে দাবি করে আসা একটি গোষ্ঠীর জন্য এসব আয়োজন ছিল উপযুক্ত জবাব।

এরপর মাঝে দু-একটি ছোট-বড় কনসার্ট করা ছাড়া হয়নি বামবার স্মরণ করার মতো কোনো কার্যক্রম। এর মাঝে দীর্ঘ বিরতি। ছিল না তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। ২০১১ সালে ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রচারণা’র অংশ হিসেবে বামবা চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে একটি সফল কনসার্টে অংশ নেয়। পরের বছর খুলনায় কনসার্টে অংশ নেয় বামবা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ঈদের ছুটিতে রবি আজিয়াটার সঙ্গে বামবা তিন দিনের রক ফেস্টিভ্যাল করে।

পরিকল্পনা এবং সফলতা

অনেক স্বপ্ন, পরিকল্পনা নিয়ে যাত্রা করেছিল বামবা। বামবার সদস্য অডিশনের মাধ্যমে বাড়ানো, সারা দেশে বামবার কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া, জনকল্যাণমূলক কাজে অর্থ সংগ্রহ করা, ব্যান্ডসংগীতের সামগ্রিক মানোন্নয়ন করা, ব্যান্ড আন্দোলনে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা—এমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ছিল। তিন ঘণ্টাব্যাপী সম্পূর্ণ লাইভ ভিডিও ক্যাসেট প্রকাশ করার চিন্তা করেছিল। সদস্যদের নিয়ে একটি অডিও অ্যালবাম করার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। কিছু কাজ হয়েছে, কিছু হয়নি। তাহলে কী প্রয়োজন আছে বামবার? বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল আলম টিপু বলেন, ব্যান্ড আন্দোলনের পরিপূর্ণ বিকাশে এবং সমৃদ্ধিতে আজও বামবার প্রয়োজনীয়তা আছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও সক্রিয় থেকে কাজ করব।

বামবা জাগবে ফের

মাঝে বেশ কয়েকটা বছর কেটে গেছে কোনো আয়োজন ছাড়া। তাই বলে নির্বাসনে যায়নি বামবা। আজ আবার জাগবে বামবা। দেশের জনপ্রিয় ১১টি ব্যান্ড নিয়ে কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছে তারা নিজেরাই। ‘বামবা লাইভ চ্যাপটার ওয়ান’ শিরোনামে এই কনসার্ট আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে অনুষ্ঠিত হবে। আজ গান শোনাবে মাইলস, ওয়ারফেজ, ফিডব্যাক, অর্থহীন, দলছুট, ম্যাক ও ঢাকা, পেন্টাগন, নেমেসিস, আর্বোভাইরাস, ভাইকিংস ও শূন্য। আয়োজনে সহযোগিতা করছে স্কাই ট্র্যাকার। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দোজা এলান প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে আমরা বামবার সঙ্গে বেশ কিছু কনসার্ট করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার লাইভ চ্যাপটার ওয়ান কনসার্ট ঘোষণার পর থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। কনসার্টে আসার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

বামবা অনেক বড় বড় কাজ করেছে
মাকসুদুল হক
প্রথম সভাপতি, বামবা

বামবার শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
মাকসুদুল হক: ’৮৭ সালে বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় সফল কনসার্টের পরে ফয়সাল সিদ্দিকি বগীর প্রথমে সব ব্যান্ডকে এই প্ল্যাটফর্মে আনার কথা চিন্তা করে। ১০টি ব্যান্ড নিয়ে ওই সময়ে এত বড় একটা আয়োজনই প্রমাণ করে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারব। তবে শুরুতে বিষয়টা কঠিনই ছিল। একেকজন একেক জায়গা থেকে এসেছিল, ভিন্ন ভিন্ন পেশা। যোগাযোগও এতটা সহজ ছিল না। কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছিল না। পরে জোর করেই আমাকে সভাপতি বানিয়েছিল। আমিও কনফিউজড ছিলাম, এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলাম দায়িত্ব নেব কি নেব না এমন ভাবনায়।

কোনো স্লোগান ছিল কি?
মাকসুদুল হক: হুম। তখন তো আমাদের ব্যান্ডসংগীতকে অপসংস্কৃতির তকমা লাগানোর চেষ্টা হতো জোরেশোরে। এটা ছিল আমাদের প্রথম লড়াই, আমরা আগে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছি যে ব্যান্ডসংগীত অপসংস্কৃতি নয়। তাই ‘ব্যান্ডসংগীত কোনো অপসংস্কৃতি নয়, এ বাংলা সংগীতের প্রবহমান ধারা’ স্লোগান নিয়েই বামবার প্রতিষ্ঠা। প্রথমবার বিজয় দিবসের কনসার্টে এমনটাই আমাদের ব্যানারে লেখা ছিল।

ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেল। শুরুর সভাপতি হিসেবে আপনার মতে বামবার সফলতা কতটা?

মাকসুদুল হক: আমি তো মনে করি বামবা পুরোপুরি সফল। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা শুরু করেছি, তা পূরণ হয়েছে। অনেক বড় জায়গায় পৌঁছে গেছে বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীত। অনেক নতুন নতুন ব্যান্ড আসছে। ওরা ভালো করছে। নেপথ্যে বামবা অনেক বড় বড় কাজ করেছে।

একটু বলবেন উল্লেখযোগ্য কোনো বড় কাজের কথা?

মাকসুদুল হক: এই যে মেধাস্বত্ব আইন নিয়ে যে এত আলাপ, সচেতনতা বা বাস্তবায়ন—এই কাজটি তো বামবাই নেতৃত্ব দিয়েছে। গানের রয়্যালটি নিয়ে কাজ করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এসব নিয়ে সক্রিয় ছিল বামবা। কিছুটা হলেও সর্বোপরি সব শিল্পীর অধিকার আদায়ের কাজটি এগিয়েছে।

ব্যান্ডসংগীতের ভক্তদের জন্য এক অনন্য সুযোগ
হামিন আহমেদ
বর্তমান সভাপতি, বামবা

প্রথমে ধন্যবাদ জানাই অনেক দিন পর একটি বড় পরিসের আয়োজনের জন্য। আজকের আয়োজন নিয়ে কিছু বলুন
হামিন আহমেদ: দেশে অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড আছে। দর্শকদের নানা রকম পছন্দের কারণে ব্যান্ডগুলোর পরিবেশনাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু অনেকেই আছেন, যাঁরা একই সঙ্গে একাধিক ব্যান্ডের পারফরম্যান্স পছন্দ করেন। সেই সংগীতপ্রেমীদের জন্য আমরা এই আয়োজন করতে যাচ্ছি, যাঁরা একসঙ্গে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন। আমরা আশা করি, দেশের ব্যান্ডসংগীতের ভক্তদের জন্য এটি এক অনন্য সুযোগ।

এলআরবি, নগরবাউলসহ বেশ কয়েকটা বড় দল আজকের কনসার্টে নেই। কেন?
হামিন আহমেদ: একসঙ্গে তো সব সদস্যকে এক দিনের আয়োজনে রাখা সম্ভব না। এটা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। হয়তো পরের আয়োজনগুলোতে পর্যায়ক্রমে অন্যরা থাকবে। এটা তো স্বাভাবিক। আর এলআরবি বেশ কয়েকবার ইস্তফা দিয়ে চিঠি দিয়েছে, কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি। আমরা চেয়েছি ভেতর থেকে বিষয়টি সমাধান করতে। ভবিষ্যতে ওরা হয়তো আমাদের আয়োজনে থাকবে।

সর্বশেষ কনসার্ট করেছিলেন ২০১৪ সালে। বামবার কার্যক্রম কম কেন?

হামিন আহমেদ: কার্যক্রম কম এটা ঠিক নয়। সংগঠনের কার্যক্রম তার নিজের গতিতেই চলে। আমরা তো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান নই যে কনসার্ট আয়োজনে আমাদের কাজ সীমাবদ্ধ হবে।

বামবার আগামী পরিকল্পনা কী?

হামিন আহমেদ: আমরা এখন নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে হাত দেব। খুব খেয়াল করে দেখেছি, ব্যান্ডসংগীতের জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে করপোরেটসহ নানা ক্ষেত্রে নিজেদেরই ব্যান্ডিং করেছে। ব্যান্ডসংগীতের পৃষ্ঠপোষকতা করেনি। আর একটা কথা, এখন সময় বদলেছে। সারা রাত ক্ল্যাসিক্যাল, ফোক গান শোনার যুগ এসেছে। ইউটিউবে জোয়ার। এমন অবস্থায় আমরা আরও সংহত এবং সময়োপযোগী হয়ে নতুন মাত্রায় এগিয়ে যাব।