রজনীকান্ত এখন দার্জিলিংয়ে

রজনীকান্ত
রজনীকান্ত

ভারতের দক্ষিণের মেগাস্টার রজনীকান্ত এখন পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংয়ে। ছবির শুটিং করতে গতকাল বুধবার সেখানে যান তিনি। এবারই প্রথম তিনি দার্জিলিংয়ে গেছেন। সেখানে পাহাড়ে পা রেখে অভিভূত হন। বললেন, ‘আমি মুগ্ধ। দার্জিলিং তো বিশ্বখ্যাত। বিশ্বনন্দিত। তাই তো এসেছি।’

গতকাল শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রজনীকান্তকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াংয়ে। আগে দার্জিলিংয়ের একটি মহকুমা শহর ছিল এই কার্শিয়াং। সম্প্রতি আলাদা জেলা হয়েছে। পাহাড়ে ঘেরা কার্শিয়াং দেখে মুগ্ধ রজনীকান্ত। উঠেছেন কার্শিয়াং শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরের অ্যালিভা হোটেলে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই কার্শিয়াংয়ে শুরু হবে তাঁর ছবির শুটিং। প্রথম শুটিং হবে কার্শিয়াংয়ের রেঞ্জার্স কলেজে। ১২ জুন পর্যন্ত চলবে শুটিং। তারপর তিনি যাবেন দার্জিলিং শহরে।

জানা গেছে, রজনীকান্ত টানা ৪০ দিন দার্জিলিংয়ে শুটিং করবেন। সেভাবেই শুটিংয়ের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। গত বছর ৮ জুন থেকে পাহাড়ে টানা ১০৪ দিন বন্‌ধ্‌ পালনের পর এখন স্বাভাবিক হয়েছে পাহাড়। হয়েছে শান্ত। তাই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পাহাড়ে শুটিং করছেন রজনীকান্ত।

কার্শিয়াং শহরে রজনীকান্তের আগেই পৌঁছে যান তাঁর শুটিং দলের ১৫০ জন সদস্য। সব মিলিয়ে এই শুটিংয়ে যুক্ত থাকবেন ৬৫০ জন। এরই মধ্যে শুটিং দলের প্রতিনিধিরা দেখা করেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী এবং দার্জিলিং স্বশাসিত বোর্ড জিটিএর (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) চেয়ারম্যান বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে। তাঁরা রজনীকান্তকে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে রজনীকান্তকে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে দার্জিলিংয়ের স্থানীয় অধিবাসী। সংবর্ধনা দেবে জিটিএ। এমনটাই জানিয়েছেন জিটিএর চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের জেলা পুলিশও চেষ্টা করছে রজনীকান্তকে তাদের আয়োজিত ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠানে হাজির করাতে। তবে রজনীকান্তের পরিকল্পনার কথা তেমন কিছুই জানতে পারেনি সংবাদমাধ্যমগুলো।