আসিফ আকবরের 'ঈদ মোবারক'

‘ঈদ মোবারক’ গানের মিউজিক ভিডিওতে আসিফ আকবর
‘ঈদ মোবারক’ গানের মিউজিক ভিডিওতে আসিফ আকবর

‘আসমানেতে চাঁদ দেখিলে ঘরে ঘরে পড়ে ধুম/ খুশির হাওয়ায় সব ভেসে যায় কারও চোখে নাইরে ঘুম/ প্রাণে প্রাণে প্রাণ মিশে একই প্রাণ হোক/ ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ’—আসিফ আকবরের গান। গত বছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গেয়েছিলেন তিনি। গানটির শিরোনাম ‘ঈদ মোবারক’। এবার তৈরি হলো গানটির মিউজিক ভিডিও। গতকাল রোববার বাংলা ঢোলের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয়েছে এই ভিডিওটি। এ ছাড়া গানটি আরও দেখা যাচ্ছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বাংলাফ্লিক্স, রবি স্ক্রিন, এয়ারটেল স্ক্রিন ও টেলিফ্লিক্সে।

ঈদের আগে দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর কাছ থেকে এই মিউজিক ভিডিও উপহার পেয়ে দারুণ খুশি আসিফ-ভক্তরা। অনেকেই ‘ঈদ মোবারক’ গানটির ভিডিও শেয়ার করেছেন, আসিফের জন্য শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেকের মতে, এবার ঈদে আসিফ আকবরের কাছ থেকে দারুণ উপহার পেয়েছেন তাঁরা।

‘ঈদ মোবারক’ গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন হাসান মতিউর রহমান, সংগীতায়োজন করেছেন চিরকুটের ইমন চৌধুরী। গানটিতে অভিনয় করেছেন আসিফ আকবরসহ আরও অনেকেই। মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন আশিকুর রহমান।

আজ সোমবার প্রথম আলোকে হাসান মতিউর রহমান বলেন, ‘গত বছর বাংলা ঢোল থেকে এই গানের জন্য আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমিও রাজি হয়ে যাই। তখন ইমনের স্টুডিও ছিল মগবাজারে। আসিফ সেখানে এলেন। গানটা শুনে তিনি মুগ্ধ হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গানটি নিজের কণ্ঠে তুলে নেন। আসিফ যে ধরনের গান করেন, তা থেকে “ঈদ মোবারক” গানটি একটু অন্য রকম। তাই গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পর তিনি আমাকে ধন্যবাদ জানান। গানটির অডিও ভার্সন গত বছর খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।’

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। আজ সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাহেরা বেগম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার আসিফ আকবরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইসিটি আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে।

শফিক তুহিন তাঁর মামলায় অভিযোগ করেছেন, ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

শফিক তুহিন তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনা জানার পর তিনি ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তাঁর সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তাঁর ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।