দয়া করে তৈমুরের ছবি তুলবেন না: কারিনা

কারিনা কাপুর খান
কারিনা কাপুর খান

মাতৃত্বের কোনো ছাপ পড়েনি না কারিনার মননে, না শরীরে। ‘ভিরে দ্য ওয়েডিং’ ছবিটি তার প্রমাণ। মেহেবুব স্টুডিওতে বলিউডের অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের এক আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্যও। এই আড্ডায় উঠে এল নানান কথা।

‘ভিরে দ্য ওয়েডিং’ ছবিতে দেখা গেছে, বিয়ে নিয়ে আপনার অনেক দ্বিধা। ব্যক্তিগত জীবনে কি এ রকম কিছু ছিল?
একদমই না। আমি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট ছিলাম। একজন নারী হিসেবে আমি কী চাই সেটা খুব ভালোভাবে জানতাম। তাই বিয়ে নিয়ে আমার মনে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না।

নারীকেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করলেন। এ ব্যাপারে আপনার কী অভিমত?
দেখুন, বলিউডে এর আগে একাধিক নারীকেন্দ্রিক ছবি হয়েছে। তবে আমি ওসব দেখি না। আমি দেখি ছবিটা যেন ভালো হয়। চিত্রনাট্য ভালো হওয়া জরুরি। কে নায়ক, কে নায়িকা সেটা বড় কথা নয়।

তৈমুরের জন্মের পরপরই ‘ভিরে দ্য ওয়েডিং’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। এটা আপনার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
সব মেয়েকেই এই চ্যালেঞ্জটা নিতে হয়। মা হওয়ার পর তাঁকে আবার তাঁর কাজের জগতে ফিরতে হয়। আমিও তা-ই করেছি। তবে আমি যতটা পারি তৈমুরকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই ঠিক করেছি বছরে একটার বেশি সিনেমা করব না।

স্বরার সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেছিলেন, আপনি ভালো গল্প বলতে পারেন। গল্প লেখালেখিও কি করা হয়?
তাই নাকি! আমি তো সেটে শুধু স্বরার পেছনে লেগে থাকতাম (সশব্দে হেসে)। আর লেখালেখির কথা বলছেন। এর উত্তর: না। আমি শুধু অভিনেত্রী হয়ে থাকতে চাই।

আপনার কোন পরিচয়টা সবার আগে রাখতে চান-অভিনেত্রী, সাইফ আলী খানের স্ত্রী, নাকি তৈমুরের মা?
তিনটি পরিচয়ই আগে রাখতে চাইব। কারণ, তিন পরিচয়েই আমি ভীষণ খুশি। জীবনের এই তিন সিদ্ধান্তই আমার নিজের নেওয়া।

‘ভিরে দ্য ওয়েডিং’ চার বন্ধুকে নিয়ে ছবি। বন্ধুত্বের ওপর কোন ছবি আপনার সবচেয়ে পছন্দের?
বন্ধুত্ব নিয়ে তৈরি ছবির কথা বলতে গেলে দিল চাহতা হ্যায়-এর ওপর আর কিছু নেই। ছবিটা সময়ের থেকে অনেক আগের। আর ছবির চরিত্রগুলো ভীষণ বাস্তব।

তৈমুরের ছবি আপনাদের থেকে বেশি দেখা যায়। একজন মা হিসেবে আপনি এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?
তৈমুর খুবই ছোট একটা বাচ্চা। আমি শুধু সবাইকে অনুরোধ করতে পারি যে, দয়া করে ওর ছবি তুলবেন না। এর থেকে বেশি কিছু করতে পারি না।

নিজেকে কখনো ক্যামেরার সামনে ছাড়া অন্য কোথাও ভাবতে পেরেছেন?
আমি চাই সারা জীবন ক্যামেরার সামনে কাজ করে যেতে।

‘সাইফিনা’ বলিউডের সেরা দম্পতিদের মধ্যে একটি। এই দাম্পত্যের রসায়ন কী?
আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে একে অপরের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হই। আমাদের দুজনের মূল্যবোধ এক। আমাদের চিন্তাভাবনা খুব মেলে। আমরা একে অপরকে সম্মান দিই।