'অপর্ণা সেনের পেছনে অনেক ঘুরেছি'

অনিল কাপুর
অনিল কাপুর

দারুণ এক মানুষ এই অনিল কাপুর। এই তো সেদিন মুম্বাইয়ের মেহেবুব স্টুডিওতে যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে বসলেন, তখন কত বিষয়েই না কথা বললেন তিনি! কথাগুলো ছিল রসিকতায় ভরা, আবার কোনো কোনো সময় না পাওয়ার আক্ষেপটাও পড়ল চোখে।

শুরুতে বলি আক্ষেপের কথা। মৃণাল সেনের ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল অনিলের। অনেকবার যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু কখনো তাঁর ছবিতে কাজ করার সুযোগ হয়নি। একই কথা অপর্ণা সেনের ব্যাপারেও। ‘জানেন, অপর্ণা সেনের পেছনে অনেক ঘুরেছি। শুধু তাঁর পরিচালিত একটা ছবিতে কাজ করব বলে। সেটাও হয়নি। অপর্ণা সেন রাখী গুলজারকে নিয়ে একটা ছবি করছিলেন। আমি বলেছিলাম, এই ছবিতে কাজ করতে চাই। কিন্তু অপর্ণা সেন বলেছিলেন, “এখন তুমি অনেক ছোট আছো”।’ কাজটা আর করা হয়নি অনিলের।

অভিনয়ের জগতে পার করেছেন প্রায় ৪০ বছর, অথচ আজও তিনি তারুণ্যের প্রতীক। অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর ষাটোর্ধ্ব এই নায়ক। এবার রেমো ডি’সুজা পরিচালিত রেস থ্রি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তা নিয়েই কথা বললেন বিস্তর। রেস থ্রি ছবিটি ১৫ জুন মুক্তি পেয়েছে। অনিল কাপুর ছাড়া এই ছবিতে আছেন সালমান খান, ববি দেওল, জ্যাকুলিন ফারনান্দেজ, ডেজী শাহ, সাকিব সালীম। ‘রেস’ ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে শুরু থেকেই আছেন অনিল। রেস থ্রিতে কেমন অনিল? এ নিয়ে বলিউডের এই সুপারস্টার বললেন, ‘রেস-এ আমি ছিলাম তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। রেস টুতে আমার অভিনীত চরিত্রটা ছিল বিনোদনমূলক। আমি ফলমূল খেতাম। আর আমার পাশে সমীরা রেড্ডি এবং আমিশা পাটেলের মতো সুন্দরী দুই নারী ছিল। রেস থ্রি একদমই আলাদা। এখানে আমার সঙ্গী কোনো সুন্দরী নয়। শরৎ সাক্সেনা এই ছবিতে আমার সহকারী হিসেবে পাশে থাকবেন। সালমানের পাশে জ্যাকুলিন এবং ডেজীর মতো দুই সুন্দরীকে দেখা যাবে। আমার ভাগ্যটা দেখুন। মনে হয়, এই ছবিতে আমার সঙ্গে বদলা নেওয়া হয়েছে। হা হা হা (সশব্দে হেসে)।’

গত মাসে অনিল কাপুর ঘটা করে বিয়ে দিলেন কন্যা সোনমের। এ উপমহাদেশে যা হয়, মেয়েকে বিদায় দেওয়ার সময় কি অন্য সব বাবার মতো সে রকম কেঁদেছিলেন অনিল? একেবারেই না। চোখের জলে নয়, মেয়েকে বিদায় জানিয়েছিলেন নেচে-গেয়ে। এ কথা সবাই জানেন, সোনমের বিয়েতে মেতে উঠেছিল পুরো বলিউড। কীভাবে তা সম্ভব হলো? অনিলের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে বলেই কি বসেছিল তারকার হাট? অনিল বললেন, ‘না, আমার জন্য নয়। আসলে এটা সম্ভব হয়েছে আমার বাবা সুরিন্দর কাপুরের জন্য। বলিউডের যাঁরা বাবাকে চেনেন-জানেন, তাঁরা তাঁকে খুব ভালোবাসেন। প্রকৃত ভদ্রলোক হিসেবে বাবা বলিউডে সুপরিচিত। আর সোনমকেও আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবাই খুব ভালোবাসেন। এখানে ওর প্রচুর বন্ধু। সাংবাদিক এবং চিত্রসাংবাদিকেরাও পছন্দ করেন সোনমকে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে ও। আমার স্ত্রী সুনীতার কথাও বলতে হবে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবার সঙ্গে ওর সম্পর্ক খুব ভালো।’

এর অর্থ, গোটা পরিবারের ভালোবাসাই গোটা বলিউডকে নিয়ে এসেছিল সোনমের বিয়েতে।