মাইকেলের মৃত্যুদিনে তাঁকে নিয়ে নাটক

‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকের দৃশ্যে অনন্ত হিরা
‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকের দৃশ্যে অনন্ত হিরা

‘বাংলা ভাষার প্রথম নাটক “শর্মিষ্ঠা” রচনা করেছেন তিনি। বাংলা ভাষার প্রথম “রত্নাবলী” নাটক অনুবাদের কৃতিত্ব তাঁর। বাংলা ভাষার প্রথম প্রহসন রচনা করেছেন। বাংলা ভাষার প্রথম ট্র্যাজেডি নাটকের রচয়িতা তিনি। বাংলা ভাষার প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দে তিনি মহাকাব্য রচনা করেছেন। বাংলা ভাষার বই উৎসর্গ করা রীতির প্রবর্তন করেছেন তিনি। বাংলা ভাষার প্রথম পত্রকাব্য রচনা করেন। তিনি বাংলা ভাষার প্রথম সনেট অথবা চতুর্দশপদী কবিতার রচয়িতা। তিনি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তাঁকে নিয়ে আমাদের একটি নাটক আছে। নাম “দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে”।’ বললেন প্রাঙ্গণেমোর দলের প্রধান অনন্ত হিরা।

‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকের দৃশ্য শুভেচ্ছা রহমান ও অনন্ত হিরা
‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকের দৃশ্য শুভেচ্ছা রহমান ও অনন্ত হিরা

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আয়োজিত ‘হাছনজানের রাজা’ নাটকের প্রদর্শনী শেষে অনন্ত হিরা আরও বলেন, ২৯ জুন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুদিন। তাঁকে স্মরণ করে আগামী শুক্রবার রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে প্রাঙ্গণেমোর এই নাটকটি মঞ্চস্থ করবে।

‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকটির বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি জানান, ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন বেলা দুইটায় আলীপুর দাতব্য হাসপাতালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মারা যান। মৃত্যুর আগের এক ঘণ্টায় মহাকবির মনোজগতের ভাবনার টানাপোড়েন নিয়ে নাটকটি। সব কাজের ব্যাপারে হেনরিয়েটাকে জানালেও এফিটাফ বা শোকগাথা রচনা নিয়ে মধুসূদন কেন হেনরিয়েটাকে জানালেন না, সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজার অনুসন্ধান নাটকটি। এই নাটকে চরিত্র হিসেবে উপস্থিত হয় হেনরিয়েটা, বিদ্যাসাগর আর মাইকেল মধুসূদন।

‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকের দৃশ্য রামিজ রাজু ও অনন্ত হিরা
‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকের দৃশ্য রামিজ রাজু ও অনন্ত হিরা

‘দাঁড়াও...জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নাটকটি রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু, নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনন্ত হিরা। আরও অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু, শুভেচ্ছা রহমান, আল-আভী জাহান। নাটকটির মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ, সংগীত পরিকল্পনা করেছেন রামিজ রাজু, আলোক পরিকল্পনা করেছেন আহমেদ সুজন।